গত জুলাই মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পাঁচটি প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্তির কার্যক্রম শুরু করে। ঐসময় এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু দুই মাস পার হতেই ঐ কার্যক্রমের ইতি ঘটে। ফলে প্রধান সড়কে যানজট সেই আগের মতোই রয়েছে। মহাসড়কে একইসঙ্গে যান্ত্রিক মোটরযান ও পেশিচালিত যান চলাচলের ফলে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, তেমনি দুর্ঘটনার হারও বাড়ছে। বাসের ধাক্কায় রিকশা উলটে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রধান সড়কের ফুটপাত আগের মতোই পার্কিং হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ফুটপাতে গাড়ি পার্ক করা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে চলাচলের ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফুটপাতে লোহার পিলার বসিয়ে মোটর যান চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেই পিলারের কোনো অস্তিত্ব নেই কোথাও কোথাও। প্রধান সড়কের যানজটের জন্য শাখাসড়কগুলোও দায়ী। অধিকাংশ শাখাসড়কগুলোর ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে। রাস্তার পাশের বিপণিবিতানের মালামাল রাখা হয়েছে ফুটপাতে। রেস্টুরেন্টগুলোর চুলাও ফুটপাতে রাখতে দেখা যায়। আবার অনেক শাখাসড়কে ভ্যানের ওপরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়, যা সড়কের আয়তন কমিয়ে দিচ্ছে। এতে করে সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান সড়ক থেকে শাখাসড়কে প্রবেশকারী যানবাহন যানজটে পড়ছে, যা সরাসরি প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি করছে। তাই ঢাকা শহরের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যানজটমুক্ত করতে অবৈধ রিকশা উচ্ছেদের পাশাপাশি ফুটপাতের অবৈধ দখলমুক্তি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন রিজু
ঢাকা