সংবাদপত্র বা টিভি মিডিয়ার বিকল্প হিসেবে অনেকেই সোস্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে থাকেন। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ভাইভার ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ তাদের দৈনন্দিন তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারে। এসব সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে পারি। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ার এই বিপুল দর্শকপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির রুচি বিকৃত মানুষ অশ্লীল ছবি এবং খবর প্রচার করে ভিউয়ারদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছেন। প্রায়শই নোংরা ছবি পোস্ট করা হয়। ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করা হয় আজগুবি এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। এমনকি বিখ্যাত ব্যক্তিদের নানা রোগের খবর এমনভাবে প্রচার করা হয় যেন সংবাদ প্রচারকারী সেই রোগের প্রত্যক্ষদর্শী। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের কারণে দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বাক স্বাধীনতার একজন সমর্থক। কিন্তু কোনোভাবেই মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব করা উচিত নয়। তারপরও বলব, সোস্যাল মিডিয়াকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। যারা সোস্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ তারা যদি নিজেরা দায়িত্বশীল না হন, তাহলে তাদের দায়িত্বশীল করার জন্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা আবশ্যক। আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার অর্থ যথেচ্ছাচার নয়। স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে দায়িত্বশীলতা। আমরা নিজেদের অধিকার ভোগ করব, কিন্তু অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করে নয়।
এম এ খালেক
মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা