শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কাপড়ের রং খাবারে, আপনাকেও সচেতন হতে হবে

আপডেট : ২২ মে ২০১৯, ২১:৫৯

আমাদের দেশে খাদ্য ও পানীয়ে রং ব্যবহারের হার বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান ও উত্সবের খাবারে রং মেশানোর প্রবণতা এখন সাধারণ একটি ঘটনা। যেমন- এখন রোজার মাস। রমজান এলেই ইফতারি সামগ্রীতে হরেক রকম রং ব্যবহারের কথা মনে আসে।

 রোজার পরে আসে ঈদের উত্সব। তার খাদ্য-আয়োজনেও থাকে রঙের ব্যবহার। সেমাই, লাচ্ছা, পোলাও ইত্যাদিতে অনেকেই রং ব্যবহার করেন। কমলা রং দিয়ে জর্দাও তৈরি হয় প্রায় বাড়িতেই। নিজেদের খাওয়া এবং অন্যদেরকে খাওয়ানোর জন্য রঙিন খাবারের এই আয়োজন যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের নির্দেশে পরিচালিত খাবারে ভেজালবিরোধী মোবাইল কোর্টগুলো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে মজুদ করা টেক্সটাইল কালার জব্দ করেছে যেগুলো খাবার ও পানীয়ে ব্যবহারের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কিনে রেখেছিল।

এখন প্রশ্ন হলো, বিভিন্ন খাবার ও পানীয়কে আকর্ষণীয় করতে হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ ইত্যাদি রঙের এই যে ব্যবহার তা নিরাপদ কিনা? বিজ্ঞানীরা কিছু রংকে খাদ্য ও পানীয়তে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। এগুলোকে বলে ‘ফুড কালার’। আর যেগুলো শাড়ি-লুঙ্গি-থান কাপড় ইত্যাদি রঙিন করার জন্য ব্যবহূত হয় সেগুলোকে বলে ‘টেক্সটাইল কালার’। ফুড কালারগুলো প্রাকৃতিক হতে পারে, যেমন ফলের বিভিন্ন রং, যেগুলো স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। কিংবা হতে পারে কৃত্রিম বা ল্যাবরেটরিতে তৈরি, যার অধিকাংশই বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, ব্যতিক্রম শুধু কিছু ফুড কালার। খাবারে তাই ফুড কালার ব্যবহার করাই নিয়ম। তবে ফুড কালারও নিরাপদে কতটুকু ব্যবহার করা যাবে তার মাত্রা নির্দিষ্ট করা আছে, যা না মানলে স্বাস্থ্যের কিছু ক্ষতি হয়। সবচেয়ে নিরাপদ হলো প্রাকৃতিক রং। কিন্তু প্রাকৃতিক রং দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। এগুলো থাকে বিভিন্ন ফল ও শাকসবজিতে। তাই খাদ্য ও পানীয়ে রং ব্যবহার করতে গেলে আমাদেরকে কৃত্রিম রং কিনতে হয়। যেহেতু কৃত্রিম রংগুলো স্বাস্থ্যের নানাবিধ ক্ষতি করলেও খাদ্য ও পানীয়ে এগুলো ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ প্রবল, তাই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ খাবারের রংগুলোকে ‘পারমিটেড ফুড কালার’ হিসাবে বিজ্ঞানীরা তালিকাভুক্ত করেছেন। কিন্তু আমাদের খাদ্য ও পানীয়তে যে রংগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো প্রায় সব ক্ষেত্রেই পারমিটেড ফুড কালার নয়। সেগুলো অত্যন্ত মারাত্মক স্বাস্থ্যহানিকর টেক্সটাইল কালার। আমরা বারবার টেক্সটাইল কালারের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কথা তাদেরকে জানানোর পরেও তারা শুনছেন না। এই ঢাকা শহরেই অনেক নামকরা বড় ব্রান্ডের খাবারের ও মিষ্টির দোকানগুলোও দামে সস্তা বলে ফুড কালারের বদলে টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে অন্য সব বিবেচনার চাইতে যেনতেন প্রকারে আহরিত মুনাফা বা ধনই মুখ্য। বর্তমান সরকার খাদ্যে ভেজাল রোধে এবং খাবারে টেক্সটাইল কালার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করার পরেও এই অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের অপ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

পারমিটেড ফুড কালারগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। আপনি যে দোকান থেকে খাদ্যে ব্যবহারের রং কেনেন সে দোকানি আবার আরেকজনের কাছ থেকে তা কেনে। এভাবে রং বেশ কয়েক হাতবদল হয়ে আপনার হাতে আসে। ফলে এর যে কোনো এক স্তরের কোনো একজন যদি ভাবে যে রং যেহেতু সব দেখতে এক রকমই, সেহেতু অতি মুনাফার লোভে সেই কোনো একজন পারমিটেড ফুড কালারের বদলে একই রকম দেখতে কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর ‘টেক্সটাইল কালার’ সেখানে বসিয়ে দেয়। লোভনীয় বিজ্ঞাপনের কারণে সরল বিশ্বাসে নিরাপদ মনে করে আপনি সে রং নিজে খাচ্ছেন, বাচ্চাদেরও মুখে তুলে দিচ্ছেন। অথচ এই টেক্সটাইল কালার আপনার রান্নাঘরে বা খাবারঘরে প্রবেশের কথা ছিল না।  কথা ছিল এগুলো শুধুমাত্র কাপড়ের কারখানায় থাকার, সেভাবেই এদেশে এগুলোকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ রংটিকে কাপড়ের কারখানা থেকে আপনার রান্নাঘরে নিয়ে এসেছে, কারণ টেক্সটাইল কালারগুলো দামে অত্যন্ত সস্তা। অর্থাত্ বিজ্ঞানীরা গামছা-লুঙ্গি-শাড়ি-থান রাঙানোর জন্য যেসব রং আবিষ্কার করেছিলেন, বাংলাদেশের ক্রেতাদের অজ্ঞতা ও অসাধু বিক্রেতাদের মুনাফা লুটপাটের অপ-মানসিকতার কারণে সেগুলো এখন খাবারে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শরীরে প্রবেশের পর টেক্সটাইল কালারগুলো যেসব ক্ষতি করে তার পুরো বিবরণ এখানে দেওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য বড় আকারের বই লিখতে হবে। তবে আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, কাপড়ের কারখানার আশেপাশে নদী-খাল বা অন্য জলাশয়গুলোর পানি রঙিন। এসব রং প্রকৃতিতে গিয়েও দীর্ঘদিন সহজে পরিবর্তিত হয় না অর্থাত্ এগুলোর অধিকাংশই বায়ো-ডিগ্রেডেবল নয়। ফলে কাপড়ের কারখানার রঙিন বর্জ্য যেসব নদী-খাল বা জলাশয়ে নির্গত হয় সেগুলোর মাছ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ মরে যায়, মরে যায় শৈবালসহ সব ধরনের জলজ উদ্ভিদ। অর্থাত্ জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি হয় মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী। এই টেক্সটাইল কালারগুলো খাদ্য ও পানীয়ের সাথে মিশে শরীরে প্রবেশের পর এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যার ক্ষতি করে না। তবে সবচেয়ে বেশি ও দৃশ্যমান ক্ষতিগুলো হয় আমাদের লিভার, কিডনি, হূদপিণ্ড ও অস্থিমজ্জার। এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চা ও বৃদ্ধদের বেলায় নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি, তরুণ-তরুণীদের কিছুটা দেরিতে। আজকাল আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেলিউর, হূদযন্ত্রের অসুখ, হাঁপানি ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। সববয়সী লোকজনই এতে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর প্রধান কারণ আমাদের দেশের খাদ্যে ব্যাপক পরিমাণে নকল-ভেজাল ও রংয়ের ব্যবহার। বায়ো-ডিগ্রেডেবল নয় বলে এসব টেক্সটাইল কালার আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াতেও নষ্ট না হয়ে দীর্ঘদিন শরীরে থেকে প্রাণঘাতী ক্ষতি করতেই থাকে।

আমাদের বাজারে রং বিক্রির ওপরে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তাই এই টেক্সটাইল কালারগুলো কোনো না কোনো কাপড়ের বা গার্মেন্টসের কারখানা থেকে কালো পথে খোলা বাজারে চলে আসে এবং তা আসছে যুগের পর যুগ ধরে। ফলে এ অন্যায়টিকে মানুষ আর অন্যায় বলেই মনে করছে না। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনি দোকানদারের কাছ থেকে রং কেনার সময় লেবেলটি দেখে নিন, অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৌটার লেবেল অসাধু ব্যবসায়ীরা রাখে না বলে লেবেল আপনি না পাওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে যদি লেবেল থাকে তাহলে সেই লেবেলে রংয়ের নাম থাকবে, ফুড কালার হলে তা স্পষ্ট করে লেখা থাকবে, দাম লেখা থাকবে, উত্পাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখতো থাকবেই। এই কোম্পানিগুলোই এদেশে ব্যবহূত অধিকাংশ টেক্সটাইল কালারের উত্পাদক।

বাংলাদেশে যেসব টেক্সটাইল কালার বিক্রি হয় তার তালিকা দীর্ঘ। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত বলে আমরা যেগুলো পেয়েছি সেগুলো হলো: ওরামিন, অরেঞ্জ টু, মেটানিল ইয়েলো, রোডামিন বি, ব্লু ভিআরএস ইত্যাদি। আমাদের মিষ্টির দোকানগুলোর অধিকাংশ দই-মিষ্টি, কনফেকশনারির কেক বিস্কুট পেস্ট্রি টফি লজেন্স, কিংবা অন্যান্য খাদ্য উত্পাদকদের চানাচুর জ্যাম জেলি জুস আচারে হলুদ রংয়ের জন্য মেটানিল ইয়েলো এবং লাল রংয়ের জন্য রোডামিন বি বেশি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া আরো যে টেক্সটাইল কালার ব্যবহূত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্ল্যাক এসবি, সান ইয়েলো আরসিএইচ, স্কাই ইয়েলো এফবি, ইয়েলো ৩জিএক্স, অরেঞ্জ এসই, অরেঞ্জ জিআর পিওপি, স্কারলেট ৪বিএস, গ্রিন পিএলএস, বরদু বিডব্লিউ, ফাস্ট রেড ৫বি, টুর্ক ব্লু জিএল, ব্রাউন সিএন ইত্যাদি। কোনো রঙিন খাবার বা পানীয় কেনার আগে আপনি পণ্যের গায়ে লেখা বা দোকানির দেওয়া রংয়ের নামের সাথে এ তালিকা মিলিয়ে দেখতে পারেন। তবে ফুড কালার মেশানো খাবারও সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। কারণ আগেই বলেছি, ফুড কালার ব্যবহারেরও নির্দিষ্ট নিরাপদ মাত্রা-সীমা আছে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক কতটুকু কোনো ফুড কালার খেতে পারবেন তা বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ইদানীং বাচ্চাদের হাঁপানি অনেক বেড়ে গেছে। বাচ্চাদের প্রধানত কোমল পানীয়ে বা তথাকথিত জুসে ব্যবহূত হলুদ রংসহ বিভিন্ন খাবারে ব্যবহূত অন্য রংগুলো এজন্য দায়ী। বিজ্ঞানীরা বাচ্চাদের হার্টের অসুখের সঙ্গেও এখন এসব রংয়ের সম্ভাব্য সম্পর্ক খতিয়ে দেখছেন। অথচ দুঃখের কথা হচ্ছে যে, আমাদের দেশে বাচ্চাদের খাদ্য ও পানীয়গুলোতেই কাপড়ের রং বেশি বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো খেয়ে কত বাচ্চা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার হিসাব করার কোনো উপায় আমাদের নেই।

একসময় অনুমোদিত থাকলেও পারমিটেড ৮টি রংকে কয়েক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) মানুষের যে কোনো খাদ্য ও পানীয়ে ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এখন তাহলে টেক্সটাইল কালার না হলেও এগুলোও এখন অনিরাপদ বলে আমাদেরকে গণ্য করতে হবে। নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে যাতে দোকান থেকে অনুমোদিত রং বা রঙিন খাদ্য/পানীয় কেনার সময় দেখে নিতে পারেন সে জন্য বাতিল করা রংগুলোর নাম এখানে উল্লেখ করা হলো- এফডিএন্ডসি অরেঞ্জ নং ১, এফডিএন্ডসি রেড নং ৪, এফডিএন্ডসি রেড নং ৩২, এফডিএন্ডসি ইয়েলো নং ১, এফডিএন্ডসি ইয়েলো নং ২, এফডিএন্ডসি ইয়েলো নং ৩, এফডিএন্ডসি ইয়েলো নং ৪ এবং এফডিএন্ডসি ভায়োলেট নং ১।

এর আগে এফডিএন্ডসি রেড নং ২ এবং এফডিএন্ডসি ইয়েলো নং ৫— বহুল ব্যবহূত এই দুইটি রংকেও পারমিটেড কালারের তালিকা থেকে এফডিএ কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়। দুঃখের কথা হলো, আমাদের দেশে খাদ্য ও পানীয়কে যথাক্রমে লাল ও হলুদ করার জন্য এই বহিষ্কৃত দুইটি রংই সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়।

উপরের এই বিবরণ থেকে আপনি নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে, প্রথমত খাদ্য বা পানীয়ে অনুমোদিত রং ছাড়া অন্য কোনো রং থাকা অত্যন্ত ক্ষতিকর। অর্থাত্ টেক্সটাইল কালারগুলো কোনো খাদ্য ও পানীয়ে মেশানোই যাবে না, ফুড কালারগুলোও যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হলো আমাদের খাদ্য ও পানীয়ে রং একবারেই ব্যবহার না করা। নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা রক্ষার এটি সবচেয়ে ভালো পথ।

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন যে তাহলে নিরাপদ রং কোনটি? এর সত্যি ও যথার্থ উত্তর হলো, বিজ্ঞানীরা এখনো এমন কোনো কৃত্রিম রংয়ের দেখা পাননি, তবে ফলমূল ও শাকসবজির প্রাকৃতিক রংগুলো অবশ্যই নিরাপদ। আমি বরং বিনীতভাবে প্রশ্নকারীকে পাল্টা জিজ্ঞেস করতে চাই, খাবারে রং দিতে হবে কেন? এতে কি খাবারে স্বাদ বা পুষ্টিমান বাড়ে? বাড়ে না। বাড়ে এর বাণিজ্যিক মূল্য। উত্পাদকরা রং মিশিয়ে আপনার পকেট কেটে তার বিনিময়ে আপনারই শরীরের ক্ষতি উপহার দেয়। এদের কাছে আজ আপনি-আমিসহ পুরো জাতি জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাই আসুন সিদ্ধান্ত নেই আমরা আর এদের মোহনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে আটকা পড়বো না।  সেই সঙ্গে আসুন সিদ্ধান্ত নেই, নিজেরাও ঘরে খাবার তৈরির সময় কোনো কৃত্রিম রং মেশাবো না। আসুন পরিবারের সদস্যদের বলি যে খাবারের প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক রং ছাড়া এগুলোতে অন্য যে কোনো রং মেশানো ক্ষতিকর। আসুন বিষাক্ত রংবিরোধী এই নিরাপদ খাদ্যের আন্দোলনটি আমরা সবাই যার যার বাড়িতে শুরু করি।

n লেখক:সাবেক চেয়ারম্যান, ফার্মেসি বিভাগ; সাবেক ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়