বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রসঙ্গ :আবরার হত্যা

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২১:০৮

নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো সান্ত্বনাই আপনাদের কষ্ট কমাতে যথেষ্ট নয়। সে ভাষা আমার নেই। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি।’ এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল পাঠকদের কাছে। ইমেইল ও টেলিফোনে পাঠকের দেওয়া প্রতিক্রিয়া আজ প্রকাশ করা হলো

ছাত্ররাজনীতিতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার বদলে আধিপত্যের বিস্তার দেখা যায়। এই অসভ্য প্রতিযোগিতাকে মূল রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আশ্রয় দেওয়া হয়। পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষকদের অনেকেই ব্যক্তিগত লাভের আশায় ছাত্রদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ না করে পরোক্ষভাবে উত্সাহিত করে থাকেন। আর সাধারণ শিক্ষার্থী নির্দলীয় শিক্ষকগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি নিয়ে থাকেন। যদি ছাত্ররাজনীতিতে রাজনৈতিক দল ও দলীয় শিক্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দলীয় শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই নির্লিপ্ত অবস্থা না থাকত তবে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়া যে নির্যাতনের সংস্কৃতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে তা কখনই সম্ভব হতো না।

শাহরিয়ার জামিল

ফজলুল হক মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতার পর আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ পর্যন্ত ১৫৬ জন ছাত্র খুন হয়েছে। এসব অপরাধের জন্য কাউকেই শাস্তি পেতে হয়নি। মামলা হলেও আবার ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে গেছেন আসামিরা। সর্বশেষ ঘটনায় প্রাণ দিতে হলো বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানেই অনিয়ম, সেখানেই অভিযান, সন্ত্রাস দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়। নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের মা-বাবার সঙ্গে তিনি তার কষ্টের সাথে সমবেদনা জানিয়েছেন। স্বজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের তা তিনি অনুভব করেন। নিজের স্বজনদের হারানোর ব্যথাটি তিনি এখনো অনুভব করে চোখের জল ফেলেন।

সুগন্ধী আক্তার

মতিঝিল, ঢাকা

একের পর এক নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে। এই বেপরোয়া অমানবিক হত্যাকাণ্ড মিছিল বন্ধ করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে হত্যার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে দেশের সর্বস্তর মানুষ। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া বহুমুখী ওয়াদা এক সময়ে চাপা পড়ে জনগণের দৃষ্টি থেকে। আর তাছাড়াও আইন প্রয়োগের গাফিলতিতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। সম্প্রতি বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল দেশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবরার মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো সান্ত্বনাই আপনাদের কষ্ট কমাতে যথেষ্ট নয়, প্রধানমন্ত্রী আবরার ফাহাদ বিচার দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মো. আব্দুর রাজ্জাক নাছিম

নির্বাহী পরিচালক, স্বাধীন জীবন, চান্দাইকোনা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ

বুয়েটের ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে প্রশাসন। বুয়েটের ছাত্র হত্যাকাণ্ডে জড়িত দেশবিরোধী চক্র এটা করেও সফল হতে পারল না। ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করে শক্তির মহড়ার জানান দিতে চাইছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন থাকায় অপরাধীরা পার পাচ্ছে না। অনুপ্রেবেশকারী যেসব ছাকত্রলীগ নামধারী বুয়েট ছাত্রলীগে রয়েছে, তারা জামায়াত-শিবির পরিবারের। প্রধানমন্ত্রী আবরার সম্পর্কে তার পিতামাতার কাছে যে আকুতি ব্যক্ত করেছেন, তা সত্যিকার একজন যথার্থ নেতার মর্মস্পর্শী বাণী। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই শোকার্ত হয়েছেন এবং তা প্রকাশ করেছেন।

মাখরাজ খান

সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

আবরার ফাহাদের বাবা-মাকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী যখন তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা পাননি, তখন আমি আর কতটুকু সান্ত্বনার ভাষা দিতে পারি? আবরার ফাহাদকে যে স্থানে কবর দেওয়া হয়েছে, সেখান দিয়ে আমি আগে আসা-যাওয়া করেছি। যদি আল্লাহ যাওয়ার সুযোগ দেন, তাহলে তার কবরের পাশ দিয়ে বাড়িতে যাব। আমার বলার কিছু থাকে না, শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আবরারের কবরটা। আগেও দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বুয়েটের শিক্ষার্থী সানি নিহত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে রাউফুন বসুনিয়া নিহত হয়েছিল, কিন্তু আবরারের ঘটনা এসবকে ছাপিয়ে গেছে। আমি এ প্রসঙ্গে বলে রাখতে চাই, টিভিতে দেখলাম, একজন পুলিশ অফিসার বলছেন যে আবরার শিবির করত, এজন্য তাকে হত্যা করেছে। এ কথা একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের মুখ থেকে শুনে আরো আশাহত বোধ করেছি।

খন্দকার কামরুজ্জামান

৩৬৩/১১, উত্তর পীরেরবাগ, মিরপুর, ঢাকা

বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যার দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এদেশে বলা সহজ, বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। ঘটনার সময় গণমাধ্যম ও জনতার আবেগ সরব থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা নীরব হয়ে যায়। এদেশে কোনো কিছু বাস্তব রূপ নিতে পদে পদে বাধা আসে। সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা একটি বড়ো সমস্যা ও বাধা। তাছাড়া অদৃশ্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বিচার প্রক্রিয়াকে জটিল থেকে জটিল ও দীর্ঘায়িত করে তোলে। আসামিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হলে ন্যায়বিচার অনেকটা প্রহসনে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে সম্প্রতি বিশ্বজিত্ হত্যার বিচার এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আবিদুর রহমান আবিদের বিচার প্রক্রিয়া অনেকটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এসব বাধা অতিক্রম করে যদি আবরার ফাহাদ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়, তবে তা হবে দৃষ্টান্তমূলক এবং এ ধরনের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের জন্য উচিত শিক্ষা।

মো. জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা

আর্মি ক্যাডেট কলেজ ও মেরিন ক্যাডেট কলেজগুলোতে প্রতিনিয়ত র্যাগিং করা হয় কিশোর ও যুবক বয়স থেকে তাদের শত প্রতিকূলতার মধ্যে টিকে থাকার পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আর আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং করা হয় তথাকথিত দাদাগিরি ফলানোর জন্য। হল প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কানে তুলা ও পিঠে কুলা দিয়ে বসে থাকে নিজেদের পদ-পদবির লোভে। সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের কাছে এসব বিশ্বিবিদ্যালয় প্রশাসন ডাবল জিম্মি বলে জনশ্রুতি আছে। ফলে ভুক্তিভোগীদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তথা গণভবন। তিনিও উপযুক্ত বিচার ও প্রতিকারের আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগীদের মন জয় করে নেন বলে ব্যাপক জনশ্রুতি আছে।

ভূঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী

মাইশা এফ হাউজ, ঢাকা

আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে সে উত্তাপ। নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদের মাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো সান্ত্বনাই আপনাদের কষ্ট কমাতে যথেষ্ট নয়। সে ভাষা আমার নেই। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। সত্যিকার অর্থে তিনি ঠিকই বলেছেন। কেননা তিনিও বাবাসহ স্বজনদের হারানোর মর্মটি অনুভব করে যাচ্ছেন।

মো. খায়রুল ইসলাম (ফুল)

আরাপপুর ঝিনাইদহ

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডটি ছাত্রদের মানসিক অস্থিরতা ও অমানবিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই মনে করি। শিক্ষাগ্রহণ যখন মূল উদ্দেশ্য না হয়ে রাজনীতি মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে উঠছে, তখনই এরকম অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। আদর্শিক ছাত্ররাজনীতি যখন লোপ পায়, তখন এরকম ঘটনাগুলো ঘটে। যে ছাত্ররা মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, সেই ছাত্ররাই আজকে হিংস্র দানব হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অপশক্তির ছত্রছায়ায়।

এস এম হূদয় রহমান

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আমাদের প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে ছায়ার মতো ঘুরে বেড়ায় দানব। সময় সুযোগ বুঝে তা স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করে। ‘আমিত্ব’ আর ‘পশুত্ব’ একে অন্যের দোসর। মানুষের মধ্যে আমিত্ব গ্যাঁট হয়ে বসলে পশুত্ব শিকড় গাড়ে। এতে মানবতাবোধ পালায়, পাশবিকতা ডালপালা ছড়ায়। আমিই শুধু খাব, অন্য কাউকে খেতে দেব না; আমিই শুধু বলব, আর কাউকে বলতে দেব না, আমার কথার বাইরে ভিন্নমত সহ্য করব না, এই আমিত্ব সর্বনেশে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তা জাজ্বল্যমান। আবরারকে যারা মেরেছেন, এই ছেলেগুলো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দুর্বলতায় ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগে ক্রমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে।

মেনহাজুল ইসলাম তারেক

মুন্সিপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর

বুয়েট এ দেশের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছে তীর্থস্থানসম। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী শৈশব থেকে বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন লালন করেন, আমি নিজেও একসময় বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম! অনেক অভিভাবক স্বপ্ন দেখেন, আদরের সন্তান বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হবে। সীমিত আসন ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সে স্বপ্নসাধ পূরণ হয় না। যারা বুয়েটে পড়েন, তারা অবশ্যই শিক্ষার্থী হিসেবে বিশেষ যোগ্যতার অধিকারী বলেই মনে হয় আমার কাছে। তাদের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশাও অনেক। এই শিক্ষার্থীরা সংগঠনভিত্তিক গণ্ডিবদ্ধ কর্মকাণ্ডে আবদ্ধ থেকে পেশিশক্তির চর্চা করবেন, তা অনভিপ্রেত ও বড্ড বেমানানই লেগেছে আমার কাছে। সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে তারা মুক্তবুদ্ধির অবারিত দ্বারে উপনীত হবেন। তাদের নানা মত, বুদ্ধিবৃত্তিক নানা কৌশল দেশ ও জাতির জন্য এনে দেবে সাগর সেচা কাঙ্ক্ষিত মুক্তা; যার মঙ্গল দ্যুতিতে উদ্ভাসিত হবে সারা দেশ।

বিলকিছ আক্তার

সরকারি ম্যাটস ও ছাত্রীনিবাস

আবরার হত্যার প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা কেবল প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, একজন স্বজনহারানো বেদনার্ত মা হিসেবেও বলেছেন। আবরার হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যেমন চাই তেমনি তার বাবার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলতে চাই, আবরার হত্যাকে নিয়ে যেন কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে সেদিকেও সরকারকে বাস্তব দৃষ্টি রাখতে হবে।

আজহারুল ইসলাম সরকার

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, নরসিংদী

প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই আইনবিরোধী এবং জঘন্যতম ঘটনা। প্রতিটি মানুষের জানমালের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আবরার হত্যাকাণ্ড নিছক হত্যাকাণ্ড নয়। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে এটি একটি জাতির জন্য কলঙ্ক। এই কলঙ্কের কালিমা মোচন করতে হলে আবরারের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতি পূরণসহ যাবতীয় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কিছুটা হলেও সান্ত্বানা দেওয়া সম্ভব।

এস কে মোহাম্মদ রমিজউদ্দিন

আয়কর আইনজীবী, ল চেম্বার, ১৪ দরুস সালাম, পুরানা পল্টন, ঢাকা