ঢাকার নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নে কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় ব্যক্তিরা ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন খানেপুর ইসলামিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় মাদ্রাসার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে অর্থসংকটে বন্ধ হয়ে গেছে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের কাজ। ফলে এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে খোলা ভবনে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জোবায়ের হোসেন বলেন, বর্তমানে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০০। আমাদের এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের সহযোগিতায় চলে আসছে। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে এলাকাবাসীর অনুদানে এক বছর আগে তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের কাজও শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ভবন নির্মাণের কাজ। স্থানীয় প্রশাসন কিংবা সরকারের কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পায় না প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে দেওয়ালবিহীন খোলা ভবনে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে চারদিকের শব্দে পড়াশোনায় ভালোভাবে মন বসাতে পারছে না তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দেওয়াল না থাকায় ঝড়-বৃষ্টির দিনে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দেওয়া হোক।
মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানান, প্রতিষ্ঠানে ২০০ শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ানো হয়। এখন চরম আর্থিক সংকটের কারণে মাদ্রাসাটি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মোল্লা বলেন, ঐ মাদ্রাসায় বড়ো অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই। দেশের বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাজি আব্দুল বারেক ভূইয়া বলেন, এলাকাবাসী ও কয়েকজন কুয়েত প্রবাসী মাদ্রাসার উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছেন। সরকারিভাবে সহযোগিতা না পাওয়ায় বর্তমান আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে মাদ্রাসাটি। আর মাত্র ৫ লাখ টাকার সংস্থান হলেই ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করা যাবে। তাই বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।