মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে ৩ শ্রমিক নিখোঁজ

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০৪

গতকাল রবিবার ভোরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কীর্তন খোলা-২ এর ধাক্কায় এমভি নাদিয়া নামে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড ডুবে তিন শ্রমিক নিখোঁজ হন। নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন মুন্না মোল্লা, আসলাম মিয়া ও এমাদুল হক। কোস্ট গার্ডের স্টেশন অফিসার এম এম আসিফ জানান, রবিবার সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটির চালক মো. শহিদুল ইসলাম এবং দুই মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউনুচ ব্যাপারীকে আটক করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের নারায়ণগঞ্জের পাগলা স্টেশনের পেটি অফিসার লুত্ফর রহমান জানান, আটক লঞ্চের চালক শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, নোঙর করা বাল্কহেডগুলোতে কোনো আলো না থাকায় কুয়াশার কারণে তাদের অবস্থান বোঝা যায়নি।

গজারিয়া কোস্ট গার্ড স্টেশনের কনটিন্যান্ট কমান্ডার আবদুস সামাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজ তিন শ্রমিককে খুঁজতে ও ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধারে ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সমন্বিত অভিযান চলছে মেঘনা নদীতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে স্থানীয় কোস্ট গার্ড মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালুবাহী আটটি বাল্কহেড আটক করে কোস্ট গার্ডের জেটির পাশে নদীতে নোঙর করে রাখে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তন খোলা-২ লঞ্চটি নোঙর করা বালুভর্তি বাল্কহেড এমভি নাদিয়াকে ধাক্কা দিলে সেটি নদীতে ডুবে যায় এবং অপর বাল্কহেড এমভি আল আসওয়া সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা চার শ্রমিকের মধ্যে মিজানুর রহমান বের হতে পারলেও তিন শ্রমিক মুন্না মোল্লা, আসলাম মিয়া ও এমাদুল হক নদীগর্ভে নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডুবে যাওয়া বাল্কহেড নাদিয়ার মালিক রুহুল আমিন মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী বেঁচে যাওয়া শ্রমিক মিজানুর রহমান।