জমে উঠেছে বৈশাখী মেলাও
আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম অফিস
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১০তম আসর বসছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এই উপলক্ষে লালদীঘির মাঠ সেজেছে নতুন রূপে। প্রস্তুত করা হয়েছে ‘কুস্তির রিং’। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নাম করা বলীরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন। প্রতিবারের মতো এবারও শতাধিক বলী প্রতিযোগীতায় অংশ নিবেন। মেলাকে ঘিরে শুরু হওয়া বৈশাখী মেলা ইতোমধ্যে জমে উঠেছে।
জব্বারের বলীখেলার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত এই মেলাও শত বছর ধরে চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। এটাকে বিবেচনা করা হয় দেশের সর্ববৃহত্ লোকজ পণ্যের মেলা হিসাবে। চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে মেলায় পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে আসা গৌরী বিশ্বাস বলছিলেন, তিনি মূলত ঘর সাজাবার কিছু উপকরণ কিনতে মেলায় এসেছিলেন। বেশকিছু মাটির তৈজসপত্র ও পাখাও কিনেছেন তিনি। প্রতিবছর এই মেলায় আসেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক কুস্তিগীর এ বলীখেলায় অংশ নিয়ে থাকেন। সারা বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার জন্য। সেখানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শিরোপা মাথায় ঘরে ফিরেন বিজয়ীরা। দেখের বিখ্যাত বলীদের কুস্তি প্রতিযোগিতা দেখার জন্য প্রতি বছর সেখানে হাজারো দর্শকের ভিড় জমে। ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার জীবন বলী। আয়োজক কমিটির নেতা জামাল হোসেন জানিয়েছেন, বলী খেলার জন্য লালদীঘি মাঠে ‘কুস্তির রিং’ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন বলীরা রেজিস্ট্রেশন করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় একশ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।