বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গণমাধ্যম সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে

আপডেট : ১৬ মে ২০১৯, ০০:৩০

হাইকোর্ট বলেছে, গণমাধ্যমকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মিডিয়া যদি খাদ্যে ভেজালের বিষয় তুলে না ধরত তাহলে জনগণ এসব বিষয়ে জানতে পারত না। মিডিয়া জন সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। দুধে ক্ষতিকর সীসা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই মন্তব্য করে। আদালত বলে, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক অণুজীবসহ দুধ ও দই উত্পাদনকারীদের শাস্তি হতে হবে। কারণ দুধে যদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে তাহলে শিশুরা বেড়ে উঠবে কীভাবে?

এদিকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে সীসাসহ ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে মর্মে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রধান শাহনীলা ফেরদৌসীর দাখিলকৃত গবেষণা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএসটিআইয়ের কৌঁসুলি সরকার এম আর হাসান মামুন। তিনি বলেন, ওই গবেষণা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। উনি ঢাকাসহ তিন জেলার ছয়টি উপজেলাসহ ১৮টি স্থান থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছেন। সারা দেশের সামগ্রিক চিত্র নাও উঠে আসতে পারে; কিন্তু ওই রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দুধ নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এরপরই আদালত শাহনীলাকে তলব করে। আগামী ২১ মে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইকে ক্ষতিকারক দুধ ও দইয়ের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নামসহ তাদের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৩ জুন পর্যন্ত সময় দেয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও দুদকের পক্ষে সৈয়দ মামুন মাহবুব ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক শুনানি করেন।