রাজধানীতে চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
ইত্তেফাক রিপোর্ট
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রেজওয়ান নামে এক বাসিন্দা অনলাইনে একটি সুন্দর জামার বিজ্ঞাপন দেখে ৪ হাজার টাকায় কিনতে রাজি হন। বিকাশ করে টাকাও পাঠিয়ে দেন। এর একদিন পর তার বাসার ঠিকানায় ডেলিভারি ম্যান একটি প্যাকেট বুঝিয়ে দেন। প্যাকেটটি খুলে সেখানে নতুন জামার পরিবর্তে পুরাতন ছেঁড়া জামা পান। তিনি বুঝতে পারেন যে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরকম শতাধিক অভিযোগ তদন্ত করে র্যাব এই প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির সাত সদস্যকে আটক করে র্যাব-৪ এর একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুজন মোল্যা, হাসিবুল হাসান ওরফে চঞ্চল, জারদিস হোসেন, মেহেদী হাসান, নুর ইসলাম, পারভেজ মোল্যা ও আবু তাহের। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, একটি রাউটার, ২৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, চক্রটি সাত বছর ধরে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের অনলাইনে দেওয়া পণ্য সামগ্রীর ছবি নিজেদের পণ্য হিসেবে নিজেদের ফেসবুক পেজে দিত। সেসব পণ্যের দাম দেওয়া হতো নির্ধারিত দামের চাইতে কম। তবে পরে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জের নামে টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হতো। তবে ক্রেতার হাতে যেত নিম্নমানের পণ্য। অনেক সময় ফাঁকা প্যাকেটও দেওয়া হতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, চক্রটি বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। দামি পণ্য দেখিয়ে কম দামি পণ্য দেওয়া এবং সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পাশাপাশি পণ্য না দিয়েও তারা প্রতারণা করে আসছিল।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরো বলেন, ক্রেতারা কোনো পণ্য অর্ডার করলে, কখনো কখনো মূল্য পরিশোধ করতে বলা হতো। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যবান পণ্যের পরিবর্তে তারা সাবান, ভিমবার, আলু, পিঁয়াজ, পটল প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিত। কখনও কোনো পণ্য না পাঠিয়েই কিছু অর্থ আদায় করে পণ্য পাঠিয়েছে বলে দাবি করত। চক্রটি প্রতারণার জন্য ১৭টি পেজ ব্যবহার করত। আরো পেজ আছে কিনা দেখা হচ্ছে।