শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাভারে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:৫৭

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে সাভারে পৌর আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মজিদকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাতে পৌর এলাকার কোর্টবাড়ী মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্যতম আসামি সাভার থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোক্তার হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন সাভার পৌর এলাকার কোর্টবাড়ী মহল্লার মৃত ওমর উদ্দিন মোল্লার ছেলে মিকাইল মোল্লা, আনোয়ার হোসেনের ছেলে বাবু, মৃত সামসু ব্যাপারীর ছেলে মোক্তার হোসেন ও তার ভাই মনির, তুরাব আলীর ছেলে স্বপন, বক্তারপুর এলাকার আনোয়ারের ছেলে মনির, স্বপন আলীর ছেলে রিপন, আনোয়ার ও সুজাত এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৮-৯ জন। গ্রেফতারকৃত মোক্তারের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মজিদ তার সহযোগী স্বপন শেখকে নিয়ে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলেন।  পথে কোর্টবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে মজিদের মাথায় এবং স্বপন শেখের পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ আহত স্বপন শেখকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মোক্তার হোসেনকে রবিবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খুব শিগগির অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা বলেন, কিছুদিন আগে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মিকাইল মেম্বারের সঙ্গে আব্দুল মজিদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে মিকাইল মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মজিদকে গুলি করে হত্যা করেছে।

নিহত মজিদের বোন নার্গিস জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে মিকাইল মেম্বার ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। কয়েক দিন আগে মিকাইল মেম্বারের সঙ্গে মজিদের বাগিবতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মজিদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নার্গিস।  অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কোর্টবাড়ী এলাকায় মিকাইল মেম্বার ও মোক্তার বাহিনীর সদস্যদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।