ইত্তেফাক রিপোর্ট
ধর্ষণ রোধে আইন সংস্কারের সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিজ্ঞজনেরা। তারা নারী-পুরুষের সমতা, অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্ষণ আইনের সংশোধন ও সংস্কারসহ ধর্ষণ রোধে ২১ দফা সুপারিশ করেছেন। গত শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ধর্ষণ আইনের সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এ সুপারিশসমূহ তুলে ধরা হয়। সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
সুপারিশগুলোর মধ্যে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংস্কার করা, ভুক্তভোগীদের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত একটি ‘ক্ষতিপূরণ তহবিল’ গঠন, পাঠ্যপুস্তকে নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন নির্যাতন এবং সম্মতি ও পছন্দ ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করা, সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন উল্লেখযোগ্য।
সম্মেলনে মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে শুধুই যে সেক্সুয়াল বিষয়টি জড়িত, এমন কিন্তু নয়। ধর্ষণ মূলত নারীকে অধীনস্থ করে রাখার টুল হিসেবে ব্যবহূত হয়। তাই শুধু বিচার কিংবা জরিমানা করলেই হবে না, এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের দর্শন ও নৈতিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ব্যারিস্টার সারা হোসেন ধর্ষণের অপরাধ মোকাবিলার জন্য ক্ষতিপূরণ ও শাস্তিমূলক উভয় ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করেন।
আয়শা খানমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ব্লাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক জাফরুল হাছান, বাংলাদেশ আইন কমিশনের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ফৌজুল আজিম, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক হুমায়রা আজিজ, প্রথম আলোর সাংবাদিক কুররাতুল-আইন-তাহমিনা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক নবনীতা চৌধুরী প্রমুখ।