ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত ও জোরদারকরণের লক্ষ্যে সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাব-গ্রুপের নবম সভা গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মেঘনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপীয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিভাগের প্রধান ক্যারোলাইন ভিনোট যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ইইউ হতে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, নিবন্ধিত ৩৯টি দলের অংশগ্রহণে প্রায় সতেরো শতাধিক প্রার্থীর প্রতিযোগিতায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাহিত সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করেছে। এই নির্বাচনে পূর্ববর্তী যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে কম সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরও নির্বাচন নিয়ে যেসব প্রার্থীর প্রশ্ন ছিল তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। সে বিবেচনায় নির্বাচন সম্পর্কিত প্রশ্নসমূহ (সাব-জুডিস) সম্পর্কে এই ফোরামে আলোচনার অবকাশ নেই।
সভায় ক্যারোলাইন ভিনোটের নেতৃত্বে একুশ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ২০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রসহ সকলের সমর্থন চাওয়া হয়। সভায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে ইইউকে জানানো হয়, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত।