জীববিজ্ঞান প্রথমপত্র
অলোক কুমার মিস্ত্রী
পরীক্ষক, বরিশাল শিক্ষাবোর্ড
বিভাগীয় প্রধান, জীববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, পিরোজপুর
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। আশা করি, সব্বাই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করছ। আজ আমি তোমাদের জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের ৪, ৫ম ও ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ওপর সৃজনশীল প্রশ্নোওর উপস্থাপন করব, যা ২০২০ সালের এইচ.এস.সি সকল বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ঃ অনাদি ও পার্বন উভয়ই জ্বরে আক্রান্ত। তবে তাদের প্রকাশিত লক্ষণ ভিন্ন। অনাদির প্রচন্ড মাথাব্যাথাসহ অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা, চামড়ায় লালচে র্যাশ ও পার্বনের কাঁপুণিসহ জ্বর,বমি বমি ভাব, রক্তস্বল্পতা নিয়ে উভয়ই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলো।
(ক) আর্কিয়া কী? ১
(খ) Ginkgo biloba কে Living fossil বলা হয় কেন? ২
(গ) অনাদি যে জ্বরে আক্রান্ত সেই জ্বরের ব্যাখ্যা দাও। ৩
(ঘ) পার্বন যে জ্বরে আক্রান্ত সেই জীবাণুটিকে জীব ও জড়ের সংযোগসূত্র বলা হয়- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ঃ
(ক) উত্তর ঃ প্রতিকূল পরিবেশে যে সকল ব্যাকটেরিয়া বসবাস করতে পারে তাদেরকে আর্কিব্যাকটেরিয়া বা আর্কিয়া (আদি) বলে। উদাহরণ- Methanopyrus এই তাপপ্রেমি ব্যাকটেরিয়া ১১০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় টিকে থাকতে সক্ষম।
(খ) উত্তর ঃ Ginkgphyta বিভাগের অধিকাংশ প্রজাতি বর্তমানে বিলুপ্ত। তবে শত প্রতিকূলতায় Ginkgphyta বিভাগের Ginkgo biloba প্রজাতিটি জীবিত অবস্থায় টিকে আছে, এ কারণে একে Living fossil বলা হয়।
(গ) উত্তর ঃ অনাদির ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত মারাত্মক জ্বর রোগ। এ রোগ সৃষ্টিকারী রোগের নাম ফ্লাভি ভাইরাস। স্ত্রী এডিস মশা (Aedes aegypti) এই ভাইরাসের প্রাথমিক বাহক। তাই এ মশার কামড়ে ভাইরাস মানবদেহে সঞ্চারিত হয়। ভাইরাস প্রবেশের ৪-১০ দিন পর আক্রান্ত মশা তার বাকী জীবনে মানবদেহে এ ভাইরাসের সঞ্চারণ ঘটাতে পারে। সংক্রমিত মানুষ অবশ্য এ ভাইরাসের প্রধান বাহকও বটে। এর ফলে মানবদেহের মধ্যে এদের বৃদ্ধি ঘটে থাকে এবং অসংক্রমিত মশার জন্য ভাইরাসের উত্স হিসেবে কাজ করে থাকে।
(ঘ) পার্বন যে জ্বরে আক্রান্ত সেই জীবাণুটিকে জীব ও জড়ের সংযোগসূত্র বলা হয়- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর ঃ উদ্দীপকে উল্লেখিত পার্বন ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত। Plasmodium vivax ভাইরাল জীবাণুর কারণে তার দেহে এ জ্বর সংঘটিত হয়। এই ভাইরাল জীবানুটিকে জীব ও জড়ের সংযোগসূত্র বলা হয়-কারণ, এর দুটো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি হলো জীবজীয় ও অন্যটি জড় বৈশিষ্ট্য।
জীবজীয় বৈশিষ্ট্যঃ
১। ভাইরাসের দেহে নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন থাকে।
২। সজীব জীবকোষের অভ্যন্তরে এরা বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম।
৩। এতে জেনেটিক রিকম্বিনেশন ঘটতে দেখা যায়।
৪। এতে প্রকরণ সৃষ্টি ও মিউটেশন ঘটে।
জড় বৈশিষ্ট্যঃ
১। এটি কোন নির্দিষ্ট কোষ দ্বারা গঠিত নয়।
২। এটির জৈব রাসায়নিক কার্যাবলি অন্য সজীব কোষ ছাড়া ঘটতে পারে না।
৩। এটিকে ক্রিস্টাল দানায় রূপান্তরিত করতে পারা যায়।
৪। জীবন্ত পোষক কোষের বাইরে এটি মৃতঃ অবস্থায় অবস্থান করে।