শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রর্দশনের জন্য কোথায় রাখা হয়?

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৭

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

মিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ

 

 

 

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক

 স্থান ও নিদর্শন

 

১। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য কোথায় রাখা হয় এবং কেন রাখা হয় ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রত্যেক জাতিরই সম্পদ। এসব সম্পদ যেমন সংরক্ষণ করতে হয়, তেমনি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হয়। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়। ঢাকায় রয়েছে আমাদের জাতীয় জাদুঘর। এছাড়া নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালায়ও রয়েছে প্রচুর নিদর্শন। জাদুঘর ও সংগ্রহশালায় রাখা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে আমরা অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হই।

২। ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণ সমূহ লেখ।                                  

উত্তর :ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণসমূহ হলো—

ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ সম্পর্কে জানা যায়।

প্রাচীন কালের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবচিত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রাচীন কারুশিল্প ও চারুশিল্প সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়।

এসব নিদর্শন পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের নান্দনিকতা ও দক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ঐতিহাসিক নিদর্শন মনের প্রশান্তি আনয়ন করে বিধায় আমরা এসব পরিদর্শন করে থাকি।

৩। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন ?                 

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত। এর কারণ হলো—

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।

এসব নিদর্শনের মাধ্যমে আমরা প্রাচীন জনপদ এবং তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারি।

ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে মূল্যবান প্রত্নসম্পদ সংগ্রহ করা হয়।

এসব ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের এক অপার নিদর্শন।

শিক্ষার্থী, পর্যটক এবং গবেষকদের কাছে এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

৪. মহাস্থানগড় কোন নামে পরিচিত ছিল? নগরটি কোন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শনের নাম লেখ।

উত্তর : মহাস্থানগড় ‘পুণ্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল।

পুণ্ড্রনগর মৌর্য আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শন—

১. প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি।

২. পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য, ধাতব মুদ্রা, পুঁতি।

৩. ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।