শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যা কিছু প্রথম

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:১২

মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ

১৯২১ সালে তিব্বতীয় কর্তৃপক্ষ এভারেস্টের উত্তর মুখ পর্বতারোহীদের জন্য খুলে দেয়ার পর অনেক পর্বতারোহী এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠার চেষ্টা করতে থাকে। অনেক অভিযানের পরও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত পর্বতারোহীরা কোনো সুবিধাজনক পথ খুঁজে পায়নি। ১৯৫১ সালে নেপালী সরকার দক্ষিণ মুখ দিয়ে পর্বতারোহণের জন্য অনুমতি দিলে সেখান দিয়ে সুবিধাজনক পথ খোঁজা শুরু হয়। ১৯৫৩ সালের মে মাসে দুজন অভিযাত্রী দক্ষিণমুখ দিয়ে চূড়ায় উঠার প্রস্তুতি নেয়। মে মাসের ২৯ তারিখ নিউজিল্যান্ডের এডমুন্ড হিলারী এবং নেপালের তেনজিং শেরপা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যান, পৌঁছে যান বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থান সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায়। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে হিলারী ও শেরপা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখলেন এভারেস্টের চূড়ায। বিশ্বের ইতিহাসে এ এক চিরস্মরণীয় ঘটনা।

রিক্সা

বাংলাদেশের বহু  আগে কলকাতায় রিক্সা চালু হয়েছে। তবে সেসব রিক্সা হাতে টানা দুই চাকার রিক্সা।এখনও সেখানে হাতে টানা রিক্সা চালু আছে। বাংলাদেশে কখনও এ ধরনের রিক্সা প্রচলিত হয়নি। বাংলাদেশের রিক্সা একটা ভিন্ন ধরনের। তিন চাকার রিক্সায় বসে পায়ে চেপে টানতে হয়। তবে খুব সম্ভব ১৯৪১ সালের আগে পূর্ববঙ্গে কোনো রিক্সা চলেনি। ঢাকায় প্রথম এ ধরনের রিক্সা চালু হয়েছিলো। মাত্র কয়েকটি রিক্সা তখন জাপান থেকে আনা হয়েছিলো না কি জাপানী অনুকরণের ঢাকায়ই তৈরি হয়েছিলো তা জানা যায়নি। তবে এ ধরনের রিক্সার আদি নিবাস ছিলো জাপান। তখনকার রিক্সায় বর্তমানের মতো ক্রিংক্রিং আওয়াজ করা বেল ছিলো না। ছিলো পিপ পিপ আওয়াজের ব্যবস্থা। ঐতিহাসিক  ব্যাপারটি হলো খুব দ্রুতই রিক্সা ঢাকাসহ পূর্ববঙ্গের চিরাচরিত যানবাহন ঘোড়ার গাড়িকে সরিয়ে দিয়েছিলো। একসময় পুরনো ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ির মালিক ও চালকদের সাথে রিক্সা চালকদের সংঘর্ষ ও ঝগড়া হওয়াটা ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সূত্র: পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি: