এক্স-রে
জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী ভিলহেলম কনরাড রন্টগেন ১৮৯৫ সালের ২২ ডিসেম্বর ফটোগ্রাফিক প্লেটে সদ্য উদ্ভাবিত অজানা আলো, এক্স-রের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এমন সময় তাঁর স্ত্রী আনা বার্থা সেখানে উপস্থিত হন। রন্টগেনও মনে মনে কাউকে আশা করছিলেন। তিনি চাইছিলেন নতুন এ অজানা আলো (এক্স-রে) যার ভেদনক্ষমতা আছে, সেটি মানব দেহের ভেতর দিয়ে গিয়ে ফটোগ্রাফিক প্লেটে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পর্যবেক্ষণ করা। রন্টগেন তাঁর স্ত্রীকে ফটোগ্রাফিক প্লেটের উপরে তাঁর হাত রাখতে বলেন। এরপর তিনি তড়িত্ক্ষরণ নল থেকে ক্যাথোড রশ্মি নিক্ষেপ করেন। সেই রশ্মি বার্থার হাত ভেদ করে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া রেখে যায়। সেটাই ছিল বিশ্বের প্রথম এক্স-রে।
ডিজিটাল ক্যামেরা
১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ফটোগ্রাফিক পণ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কোডাকের ইঞ্জিনিয়ার স্টিভ স্যাসন আবিষ্কার করেন ডিজিটাল ক্যামেরা। আকারে টোস্টার মেশিনের মতো এ যন্ত্রটি ১০০X১০০ রেজ্যুলেশন বা ০.০১ মেগাপিক্সেল আকারের সাদাকালো ছবি তৈরি করতে পারত। ছবি তোলার পর সেটি সংরক্ষণ করা হত ক্যাসেটে। অডিও ক্যাসেট আকারের সেই ক্যাসেটে একটি ছবি সংরক্ষণ করতে সময় লাগত ২৩ সেকেন্ড। ছবি দেখার জন্য এর সঙ্গে একটি স্পেশাল কম্পিউটার ও টেপ রিডার ক্যামেরার সঙ্গে বিল্ট ইন ছিল। টেপ থেকে এটি দেখতেও ২৩ সেকেন্ড সময় লাগত। সূত্র:ইন্টারনেট