শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা

আপডেট : ২২ মে ২০১৯, ২০:০৪

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক

দুলালপুর এস.এম.এন্ড কে উচ্চ বিদ্যালয়

কুমিল্লা।

 

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যায়ভিত্তিক রচনামূলক (সৃজনশীল) প্রশ্নোত্তর তোমাদের জন্য তুলে ধরা হলো। আজকে পঞ্চম অধ্যায় অর্থাত্ “সমন্বয় ও নি:সরণ” থেকে সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন তুলে ধরা হলো।

 

উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

চিত্র-

 

 

ক. নিউরন কী?

খ. মস্তিষ্কের মেডুলার কাজ ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের চিত্রটির চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করে ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবদেহের উদ্দীপনায় উদ্দীপকের  চিত্রের প্রভাব অপরিহার্য- মূল্যায়ন কর।

উত্তর:

ক. নিউরন: স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে নিউরন বলে।

খ. মেডুলা মস্তিষ্কের নিচের অংশ। সুষুম্না শীর্ষক পনসের নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাত্ এটা মস্তিষ্কের মেরুরজ্জুর সাথে সংযোজিত করে। মস্তিষ্কের এ অংশ হূদস্পন্দন , খাদ্যগ্রহণ ও শ্বসন ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

গ. উদ্দীপকের চিত্রটি হলো মানবদেহের প্রতিবর্ত চক্র।  চিহ্নিত চিত্র অংকন করে ব্যাখ্যা করা হলো-

ব্যাখ্যা: হাতের চামড়ায় পিন ফোটামাত্র অনুভূতিবাহী স্নায়ুতন্তু পিন ফোটার যন্ত্রণা গ্রহণ করে। এই যন্ত্রণাদায়ক তাড়না অনুভূতিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছে। ঐ একই তাড়না অনুভূতিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র পেশিতে প্রেরণ করে। ফলে পেশি সংকুচিত হয় এবং যন্ত্রণার উত্স থেকে হাত সরিয়ে দেয়।

এখানে অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়াকে সহজ করে বর্ণনা করা হলো। আসলে পিন ফুটানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু অনুভূতিবাহী স্নায়ু উদ্দীপনা গ্রহণ করে। এ উদ্দীপনা অনেকগুলো পরস্পর সংযুক্ত স্নায়ুকোষের মাধ্যমে অনেকগুলো আজ্ঞাবাহী কোষে প্রবাহিত হয়। এসব আজ্ঞাবাহী স্নায়ু পেশিতে উদ্দীপনা বহন করে হাত সরিয়ে আনে। অনুভূতি মস্তিষ্কেও পৌঁছায়। ফলে কী ঘটছে শরীর তা জানতে পারে।

ঘ. জীবদেহের উদ্দীপনায় উদ্দীপকের চিত্র মানবদেহের প্রতিবর্ত চক্রের প্রভাব নিচে মূল্যায়ন করা হলো-

এ ক্রিয়াটির প্রভাব যেভাবে ব্যাখ্যা করা যায় তা হলো-

হাতের উপরে মশা বসলে ত্বকে অবস্থিত সংবেদী নিউরনের ডেনড্রাইডসমূহ ব্যথার উদ্দীপনা গ্রহণ করে । এখানে ত্বক গ্রাহক অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। আঙ্গুলের ত্বক থেকে এ উদ্দীপনা সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সনের মাধ্যমে স্নায়ুকাণ্ডের ধূসর অংশে পৌঁছায়। স্নায়ুকাণ্ডের ধূসর অংশে অবস্থিত সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সন থেকে তড়িত্ রাসায়নিক পদ্ধতিতে উদ্দীপনা মোটর বা আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইটে প্রবেশ করে। সংবেদী স্নায়ুর অ্যাক্সন ও আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইটের  মধ্যবর্তী সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে এ উদ্দীপনা পেশীতে প্রবেশ করে। মোটর বা আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর নিউরনের ডেনড্রাইট থেকে উদ্দীপনা পেশীতে পৌঁছালে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশে পেশীর সংকোচন ঘটে। ফলে উদ্দীপনাস্থল থেকে হাত দ্রুত আপনা-আপনি সরে যায়।