সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
হিমন এডওয়ার্ড গমেজ
সিনিয়র শিক্ষক
সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা
সুপ্রিয় বন্ধুরা, অনুশীলনের মধ্যে রেখো তোমার পড়া বিষয়গুলো। অধ্যায়গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে যাও তবেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে অনায়াসে।
আমাদের অর্থনীতি: কৃষি ও শিল্প
১. বাংলাদেশ কী প্রধান দেশ?
উ: কৃষিপ্রধান দেশ।
২. জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে?
উ: ৮০ ভাগ।
৩. দেশের চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে কী রপ্তানি করা হচ্ছে?
উ: কৃষিপণ্য।
৪. চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশের মাটি উপযোগী কেন?
উ: কারণ বাংলাদেশ একটি উর্বর ব-দ্বীপ অঞ্চল।
৫. মোট জাতীয় অর্থনীতির শতকরা কত ভাগ কৃষি থেকে আসে?
উ: ২০ ভাগ।
৬. বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য কী?
উ: ভাত।
৭. বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য কোনটি?
উ: ধান।
৮. বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের জলবায়ু ও ভূমি কী চাষের জন্য উপযোগী?
উ: ধান।
৯. বাংলাদেশে প্রধানত কয় ধরণের ধান চাষ করা হয়?
উ: তিন ধরণের।
১০. বাংলাদেশে প্রধানত কোন জাতের ধান চাষ করা হয়?
উ: আউশ, আমন ও বোরো।
১১. বাংলাদেশে কিসের তৈরি বিভিন্ন খাবারের চাহিদা বাড়ছে?
উ: গমের আটায়।
১২. কখন গমের চাষ করা হয়?
উ: শীতকালে।
১৩. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে গম উত্পাদন বেশি হয়?
উ: উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে।
১৪. কোনটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য?
উ: ডাল।
১৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে ডালের চাষ বেশি হয়?
উ: উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে।
১৬. দেশের চাহিদা পূরণ করতে বিদেশ থেকে কী আমদানি করতে হয়?
উ: ডাল।
১৭. বিভিন্ন ধরণের ডালের নাম লেখ।
উ: ছোলা, মসুর, মুগ, মাসকলাই, অড়হর ইত্যাদি।
১৮. আলু চাষের জন্য কেমন মাটি উপযোগী?
উ: উর্বর দোআঁঁশ ও বেলে মাটি।
১৯.বাংলাদেশে কোন আলুর চাষ করা হয়?
উ: গোল আলু ও মিষ্টি আলু।
২০. দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত আলু কোথায় রপ্তানি করা হয়?
উ: বিদেশে।
২১. সরিষা, বাদাম বা তিসির বীজ পেষণ করে আমরা কী পাই?
উ: তেল।
২২. তেলের চাহিদা পূরণের জন্য আমরা কী করি?
উ: বিদেশ থেকে তেল আমদানি করি।
২৩. খাবারকে সুস্বাদু করতে খাবারে কী ব্যবহার করা হয়?
উ: বিভিন্ন ধরণের মসলা।
২৪. কোন জাতীয় মসলা আমরা উত্পাদন করি?
উ: পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ ইত্যাদি।
২৫. মসলার ঘাটতি পূরণের জন্য কী করতে হয়?
উ: বিদেশ থেকে মসলা আমদানি করতে হয়।
২৬. যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে কী বলে?
উ: অর্থকরী ফসল।
২৭. বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
উ: পাট।
২৮. বিশ্বে পাট উত্পাদনকারী প্রধান দেশ কোনটি?
উ: ভারত।
২৯. ভারতের পরেই কোন দেশে সবচেয়ে বেশি পাট উত্পন্ন হয়?
উ: বাংলাদেশে।
৩০. ‘সোনালী আঁঁশ’ বলা হয় কাকে?
উ: পাটকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সহকারি শিক্ষক
পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,পিরোজপুর
প্রশ্ন: মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন ?
উত্তর: মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। তিনি আরও বলেন, মুমিনদের মাঝে উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ ইমানের অধিকারী তারাই যাঁরা সুন্দর চরিত্রের অধিকারী।
প্রশ্ন: ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে ?
উত্তর: যার মন উদার,মানুষের জন্য দয়ামায়া বেশি,যে রাগ দমন করতে পারে , সেই ক্ষমাশীল ব্যক্তি। অন্যভাবে বলা যায়,প্রতিশোধ গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করে দেয় সেই ক্ষমাশীল।
প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার সাথে কীরূপ ব্যবহার করবো ?
উত্তর:পিতামাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর পিতামাতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের উদ্দেশে বলেন,‘তোমরা পিতামাতার সাথে সদব্যবহার করো।’সুতরা কোরআন ও হাদিসের শিক্ষাই হলো- আমাদের পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে,তাদের সম্মান করতে হবে,আদেশ-নিষেধ সব মেনে চলতে হবে , তবে আল্লাহর নাফারমানির ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করা যাবে না। আর তাদের সাথে ধমকের সুরেও কথা বলা যাবে না।
প্রশ্ন: মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন ?
উত্তর: মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকাবার আগেই (কাজ শেষ হলেই) তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ তিনি আরও বলেন,‘শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালবাহানা করা জুলুম।’
প্রশ্ন: আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করবো ?
উত্তর: আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করবো । বয়সে বড়ো হলে তাদের সম্মান করে কথা বলবো। তাদের সাথে চাকরসুলভ আচরণ করবো না। বয়সে ছোটো হলে তাদের আদর করবো,কাজে সহযোগিতা করবো,তাদের অযথা কষ্ট দেবো না,প্রয়োজনে তাদের কাজে সহযোগিতা করবো। নিজেরা যা খাবো তাদেরকেও তা খেতে দেবো। মনে রাখতে হবে খোদার কাছে সব মানুষই সমান। উঁচুনীচুর কোনো ব্যবধান তার কাছে নেই।
প্রশ্ন.আমরা ভালো কাজে কীভাবে
সাহায্য করবো ?
উত্তর: ভালোকাজে পরস্পরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সাহায্য করবো। ছোটো-বড়ো যত প্রকার সদাচার ও সত্ কাজ আছে সবই ভালো কাজের মধ্যে পড়ে। যেমন : গরিব ও দু:স্থদের জন্য সেবা প্রতিষ্ঠান তৈরি ,তাদের স্বাবলম্বনের জন্য শিক্ষা ,চিকিত্সা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ও রাস্তাঘাট মেরামত ইত্যাদি এ জাতীয় জন কল্যাণমূলক কাজে সওয়াব লাভের আশায় নিজ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করে ভালো কাজে সাহায্য করা যায়।