জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহের ঘটনায় আট জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ ও ২-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে। মামলা দায়েরে পরপরই দুদক টিম মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। এরা হলেন:চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অস্থায়ী অফিস সহকারী ঋষিকেশ দাশ (৪১) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিরুপন কান্তি নাথ (২৯)।
দুদকের মামলার অপর ছয় আসামি হচ্ছেন: চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তার স্ত্রী আনিছুন নাহার বেগম, চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা জাফর, আনোয়ারা থানা এলাকার সত্য সুন্দর দে, দেওয়ানবাজার এলাকার সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া এবং পটিয়ার বিজয় দাশ ।
দুদক সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফউদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ আট জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করে তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় ৩৫ লাখ ৩ হাজার ১৫২ টাকা, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক আনোয়ারা শাখায় ২৮ লাখ ২০ হাজার ১৪৪ টাকা, প্রাইম ব্যাংক বাঁশখালী শাখায় ১ লাখ ১০ হাজার এবং এস এ পরিবহনের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৬ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং বাড়ি নির্মাণে ব্যয় করে রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
অপরদিকে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা দায়ের হয়েছে। চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এ দায়ের করা ঐ মামলার বাদী দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাফর সাদে শিবলী।