শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা মোকাবিলায় যুব সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:৪৪

করোনা মহামারির কারণে দেশে নতুন করে দরিদ্রের হার বাড়ছে। করোনাকালীন সাধারণ ছুটিতে দেড় কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এসব নতুন দরিদ্রদের সহায়তার আওতায় আনা গেলে দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যেসব প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রতি জোর দিতে হবে। কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবায় যুব-সম্পৃক্ততার পাশাপাশি দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ইয়ুথ অ্যাসেম্বলি আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ ও যুবসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক যুব সিম্পোজিয়ামে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন। খাদ্য অধিকারের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ। আলোচক ছিলেন আইসিসিও কো-অপারেশনের হেড অব প্রোগ্রাম (দক্ষিণ এশিয়া) মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকারের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা ও ইয়ুথ অ্যাসেম্বলির পক্ষে নাজমা সুলতানা লিলি। এ ছাড়াও ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংগঠন দুটির প্রতিনিধিদের মধ্যে জায়েদ ইকবাল, নাজের হোসেন প্রমুখ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, করোনা ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার কোটি টাকার মাত্র ১৯ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। এসব ঘাটতি দ্রুত দূর করতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনাকালে অনেক যুব কর্মসংস্থান হারিয়ে শহর থেকে গ্রামে চলে গেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক যুবরাও সংকটের মুখোমুখি। এ রকম পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরো বেশি করে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ দরকার।