গত ছয় বছরে কারখানায় শ্রম নিরাপত্তায় বড়ো উন্নতির পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমেছে। এখন অনেক সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয়। আগামীতে এই দূরত্ব আরো কমাতে হবে বলে মনে করেন গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি ড. রুবানা হক। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, এই সময়ে কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক সংস্কারের জন্য মালিকপক্ষকে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে। ফলে গার্মেন্টস খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। এ জন্য অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অবশ্য একই সময়ে এ দুটি কারখানা পরিদর্শন জোটের কিছু কার্যক্রম মালিকদের চাপে ফেলেছে বলেও জানান। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আনার বাধ্যবাধকতা আরোপ, হঠাত্ করে ব্যবসা বাতিলের সিদ্ধান্ত, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অনৈতিক চাপ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মালিকপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উপকৃত হয়েছে ক্রেতারা। তারা দর কমিয়ে দিয়েছে। কারখানা মালিকরাও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য কম দরে অর্ডার নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এখন সময় এসেছে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করার। গার্মেন্টস পণ্যে একটি সর্বনিম্ন দর বেধে দিতে হবে - যাতে কেউ ওই দরের নিচে অর্ডার না নেন। তাহলে সবাই উপকৃত হবেন।