বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মানবপাচারে যুক্ত তিন ভাইয়ের চক্র শনাক্ত :পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ১৬ মে ২০১৯, ০০:৩৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় একজন বাংলাদেশি মারা গেছেন এবং এখনো ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ সবাই মারা গেছেন। এ ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর তিন ভাইয়ের একটি চক্র এবং সিলেটের অসাধু ট্রাভেল এজেন্সিগুলো এই মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে শনাক্ত করা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, গত ৯ মে দুটি নৌকায় করে ১৩০ জনের মতো বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেন। প্রথম নৌকাটি ইতালিতে পৌঁছেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। অন্য নৌকাটিতে ৭০ থেকে ৮০ জনের অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। সেই নৌকাটি ডুবে যায়। কেউ কেউ তেলের ড্রাম ও ডুবন্ত নৌকার কিনারা ধরে থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। এভাবে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর ১০ মে সকালে তিউনিসিয়ার কয়েকজন জেলে তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তারা তিউনিসিয়ার জার্জিস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। বাকি ১০ জন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্পে রয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা চার থেকে ছয় মাস আগে দুবাই হয়ে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে লিবিয়ায় প্রবেশ করেন। তাদেরকে নিয়মিত নির্যাতন করতো পাচারকারীরা। জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে চাইলে তাদের নিয়ে আসা হবে। লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নিহত বাংলাদেশির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত মাদারীপুরের দুজনকেও শনাক্ত করা হয়েছে।