প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি তিনটি শর্ত দিয়ে সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে সরকারি উদ্যোগে সায় দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৩তম সভার ফলাফল জানাতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় ‘বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় সুন্দরবনকে আপাতত অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে ২১ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৬টি দেশ বাংলাদেশের অবস্থানের পক্ষে ভোট দেয়।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে এখন আর কোনো বাধা নেই। বরং হেরিটেজ কমিটির চূড়ান্ত খসড়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের সাতটি কাজের প্রশংসা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আইইউসিএন অনেকটা তাড়াহুড়া করে একটা দেশের ব্যাপারে মন্তব্য করে দিয়েছে। আগে তারা রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র নিয়ে কথা বললেও এখন অনেক দূরের পায়রা বিদ্যুেকন্দ্র নিয়েও আপত্তি তুলেছিল। আমরা বলেছি, পায়রা বিদ্যুেকন্দ্রটি সুন্দরবনের সীমানা থেকে অনেক দূরে। রামপালে বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তিনটি নির্দেশনা মেনে চলার কথা হেরিটেজ কমিটির বৈঠক থেকে বলা হয়েছে। এগুলো হলো : ন্যাশনাল অয়েল স্ফিল অ্যান্ড কেমিক্যাল কনটিজেন্সি প্ল্যান তৈরি করা, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ও আইইউসিএন প্রতিনিধিদের একটি দলকে সুন্দরবন পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানানো এবং স্ট্রাটেজিক এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট করা। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হেরিটেজ কমিটির প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’