ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে এনামুল বাছিরের পদোন্নতির প্রশ্নে জারিকৃত রুলের ওপর ২৫ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এর আগে দুদক কৌঁসুলির কাছে আদালত জানতে চায় যে, এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে যে বিভাগীয় তদন্ত চলছে তা শেষ হতে কত দিন লাগবে। তখন দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, দ্রুত শেষ হবে। এরপরই আদালত রুল শুনানির দিন ধার্য করেন।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি এনামুল বাছিরের পদোন্নতির প্রশ্নে রুল জারি করে হাইকোর্ট। ২৯ জানুয়ারি এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে একটি মহাপরিচালক পদ খালি রাখার বিষয়ে বলা হয়। দুদক কৌঁসুলি বলেন, ‘রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়ার আগে যদি আমাদের বক্তব্য শোনা হতো, তাহলে হয়তো এভাবে আদেশ হতো না। কিন্তু রিটকারীর আইনজীবী মামলার বিষয়টি অবগত না করায় আমরা বক্তব্য রাখার সুযোগ পাইনি।’ তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘুষ লেনেদেন নিয়ে এনামুল বাছিরের যে কর্মকাণ্ড তা জনগণের কাছে দুদককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ পর্যায়ে আদালত বলে, ‘যখন আমরা রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছি তখন কি এই অভিযোগ উঠেছে?’ দুদক কৌঁসুলি বলেন, তখন তো এই ঘুষ লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। তার অসদাচরণের কারণেই তাকে দুদক সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।