শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার উদাসীন —মির্জা ফখরুল

আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:৩৫

গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে উদাসীন। দেশের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং একের পর এক জেলা বন্যাকবলিত হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেটা আমরা লক্ষ্য করছি না। সরকারের চরম উদাসীনতা এ বন্যার ব্যাপারে। তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত ত্রাণমন্ত্রী কোথাও ঘুরে আসেননি। সরকারের পদক্ষেপগুলো মানুষ দেখতে চায়।

গতকাল শুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক হয়। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।

ত্রাণ কমিটি গঠন

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বৈঠকে দলের ২১ সদস্যের একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সদস্য সচিব ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন। কমিটিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট জেলার নেতৃবৃন্দও থাকবে। এ ত্রাণ কমিটি অবিলম্বে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে আজকে ক্রমাগত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এবং বিচার বিভাগে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু এখন ভয়াবহ মহামারী আকার ধারণ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি ডেঙ্গুর ভয়ে অফিসে যাচ্ছেন না, মশা কামড়াতে পারে। একবার তার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। অথচ একজন মেয়র বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত না কি কিছুই হয় নাই। এখন পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন, কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবাই এখন দিনের বেলায় শিশুদের মশারির নিচে রাখছেন, বড়োরা মোজা পরে থাকেন কখন এডিস মশা কামড় দেবে সেই ভয়ে। সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই।