বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এই মাঠে কতবার এসেছিলেন তার কোনো হিসাব নেই। যেখানে খেলেছেন সেই মাঠেই তিনি হয়েছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক। অনেকের কাছে এই মানুষটি ছিলেন পথিকৃত্। হাল আমলের ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাছে অজয় বড়ুয়া কিংবা অজয় দা সুপরিচিত না হলেও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাছে দৈনিক সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক অনেক পরিচিত। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ। তাদেরই অনুজ সাংবাদিক দিলু খন্দকার বলছিলেন অজয় দা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। খেলা নিয়ে কাজ করতে করতে খেলাতেই গত ১২ জুলাই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন অজয় দা। গিয়েছিলেন ইল্যান্ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কাভার করতে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটা হয়নি বৃষ্টির কারণে। সেই বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগিয়ে ফেললেন অজয় দা। তারই সহকর্মী এবং আরেক জন খ্যাতনামা ক্রীড়া সাংবাদিক কাশীনাথ বসাক জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অজয় দা। লন্ডনে থাকা তার ছেলে অনেক চেষ্টা করেছে। প্রচুর অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু বাবাকে বাঁচাতে পারেনি। অজয় দা আর ফিরে আসলেন না।
লন্ডন থেকে অজয় দার মরদেহ গতকাল রবিবার ঢাকায় পৌঁছায়। প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। নানা বিশেষণে সম্মান জানানোর পঙিক্তমালা শুনে আবেগাপ্লুত হন অজয় বড়ুয়ার স্ত্রী রুবী বড়ুয়া, পুত্র হিমাদ্রী বড়ুয়া টুটুল, যমজ কন্যা মণি-মুক্তা। পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।