রাজকোটের পর ইন্দোরেও ফ্লাইট বিলম্ব
g স্পোর্টস রিপোর্টার, ইন্দোর থেকে
ভারত সফরে এসেই দিল্লিতে একমাত্র সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তারপর থেকে হারের বৃত্তেই দিন কাটছে সফরকারীদের। শুধু কি হার, এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যু যেতে ফ্লাইট বিড়ম্বনাও যে পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ দলের।
রাজকোট থেকে তৃতীয় টি-২০ খেলতে নাগপুরে আসার আগে ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছিল। নাগপুর থেকে প্রথম টেস্টের ভেন্যু ইন্দোরে আসার ফ্লাইট নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছিল অবশ্য। গতকাল আবার ইন্দোর থেকে কলকাতাগামী ফ্লাইটের জন্যও অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। গতকাল ৭০ মিনিট বিলম্ব হয়েছে ফ্লাইট।
প্রাথমিকভাবে ইন্দোরের স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টায় ছিল বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট। পরে সেটি দেবী অহল্যা বাই হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়েছে ১১টা ৪০ মিনিটে। ইনিংস হারের স্মৃতি নিয়েই মধ্য প্রদেশের এ নিরামিষ ভোজী মানুষের শহর ইন্দোর ছেড়েছে মুমিনুল হকের দল।
দুই ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে কলকাতায় পৌঁছে গেছেন মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমরা। আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সকাল থেকে অনুশীলনে নেমে পড়বে বাংলাদেশ।
এদিকে কলকাতায় দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ইন্দোরের ইনিংস ব্যবধানের হার ভুলে গোলাপী বলে প্রথমবার টেস্ট খেলার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে সবাইকে। গতকাল ইন্দোর ত্যাগের আগে দলের মুখপাত্র হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসা আল-আমিন হোসেনের কথায় যার আভাসই মিলল।
ইন্দোর টেস্টের একাদশে সুযোগ পাননি এ ডানহাতি পেসার। গতকাল কলকাতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘আসলে আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি, সামনে ঐতিহাসিক একটা টেস্ট গোলাপী বলে। এখানে ভারতও অপরিচিত, আমরাও অপরিচিত। দুইদিক থেকে অপরিচিত এবং বলটাও নতুন। মনে হচ্ছে, ভালো একটা চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে।’
ইন্দোরের রেজাল্ট ভুলে যেতেই চাইছে বাংলাদেশ দল। অভিজ্ঞ এ পেসার বলেছেন, ‘শেষ তিন-চার দিন ধরে অনুশীলন করতেছি। কলকাতা যাওয়ার পরও অনুশীলন করার সুযোগ পাব। সবকিছু মিলিয়ে অতীতে যেগুলো ঘটে গেছে, ওগুলো চিন্তা করলে সামনে আগানো খুব কঠিন। আমরা চিন্তা করছি, দল হিসেবে কীভাবে ভালো খেলা যায়, কীভাবে প্রতিরোধ গড়া যায়। সেই চেষ্টাই থাকবে কলকাতা টেস্টে।’