শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পেসারদের দায়িত্ব দেখছেন আল-আমিন

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২১:০৩

g  জান-ই-আলম, ইন্দোর থেকে

গত কয়েক বছরে ইডেনের উইকেট বদলে গেছে বেশ। সৌরভ গাঙ্গুলি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) দায়িত্ব নেওয়ার পর বলা চলে খোলনলচে পরিবর্তন হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সের উইকেটের রূপ। আইপিএলের ম্যাচগুলোতে যার নজির রয়েছে। এখন পেস-বান্ধব উইকেট হিসেবে পরিচয় দাঁড়িয়ে গেছে ইডেনের।

আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হতে চলা দিবারাত্রির টেস্টে খেলা হবে গোলাপি বলে। আর এই ম্যাচে ফাস্ট বোলারদের অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পেসাররাই এই ম্যাচের গতিনির্ধারক হবেন। বাংলাদেশের পেসার আল-আমিন হোসেন বলছেন, যে দলের পেসাররা ভালো বোলিং করবে, তারাই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে। সেদিক থেকে ইডেনে পেসারদের অনেক দায়িত্ব দেখছেন ডানহাতি এই পেসার।

গতকাল ইন্দোর ছাড়ার আগে টিম হোটেল ম্যারিয়টে ইডেনে পেসারদের ভূমিকা নিয়ে আল-আমিন বলেছেন, ‘কন্ডিশন যদি ভালো থাকে, আমরা পেস বোলাররা খেলব, এদের কিন্তু দায়িত্ব অনেক। ভালো জায়গায় বল করতে হবে। না হলে ওদেরকে সমস্যায় ফেলা যাবে না। কারণ ওদের সবগুলো ব্যাটসম্যানই বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। র্যাংকিংয়ের ১ থেকে ১০-এর ভেতর দু-তিন জন ব্যাটসম্যান আছে। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের বোলারদের জন্য অনেক বড়ো পরীক্ষা এই গোলাপি বলে। কারণ বল ভালো, কন্ডিশন ভালো, আমরা যদি ভালো করতে পারি, তাহলে টেস্টটা একটা ইতিবাচক রেজাল্ট পাবে।’

ইন্দোর টেস্টের একাদশে ছিলেন না আল-আমিন। তবে ইডেনে সুযোগ পেতে পারেন তিনি। দলসূত্রে এমনটাই জানা গেছে।

গত কয়েক দিন ইন্দোরে গোলাপি বলে অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে গোলাপি বল নিয়ে আল-আমিন বলেছেন, ‘আসলে ভালো জায়গায় বল করতে হবে। হ্যাঁ, একটু ভিন্নতা আছে। লাল বলের চেয়ে সিমটা একটু শক্ত। শাইন করা যায় খুব সহজে। সেক্ষেত্রে ভালো হবে মনে হয় আর কি, সবকিছু মিলে।’

ইন্দোরে সুযোগ না পেলেও ইডেনে নিজের সেরাটা দিতে চান আল-আমিন। ম্যাচ খেলার জন্য ফিট আছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমরা যারা টেস্ট দলে আছি, সবাই টেস্ট খেলার জন্য ফিট আছি। সবাই কিন্তু আসার আগে চার দিনের ম্যাচ দু-তিনটা খেলে এসেছে। মানসিক, শারীরিকভাবে আমরা ফিট আছি।’

গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলারদের চ্যালেঞ্জটাই বেশি দেখেন আল-আমিন। ঝিনাইদহের এই ক্রিকেটার গতকাল বলেছেন, ‘নতুন বলের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য পুরোনো বলে চ্যালেঞ্জ বেশি হবে। যখন ফ্লাডলাইট জ্বালাবে, তখন বলের মুভমেন্ট বেড়ে যাবে। ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জ মূলত বোলারদের। যে দলের বোলাররা ভালো করবে ওরাই টেস্টে এগিয়ে থাকবে।’

কোচদের সঙ্গে অনুশীলন করলেও ২২ গজে ভালো বোলিং করার ভারটা বোলারদের ওপরই। আল-আমিনের মতে, চাপ সামলে ম্যাচেও ভালো জায়গায় বোলিংটা করতে হবে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমরা যতই অনুশীলন করি না কেন, কোচ আমাদেরকে খাওয়ায়ে দিতে পারবে না। আমাদের যে কাজ, প্রসেস আছে ওগুলো দেখায়ে দেবে। ওগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। ওখানে নিখুঁত করার কাজ আছে। মাঠে চাপ থাকবে, সবকিছু থাকবে। কাজটা কিন্তু আমাদের। ভালো বল করার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। আমরা অনুশীলনে যেমন ভালো করি, মাঠে তেমন ভালো হলে অবশ্যই দলের জন্য ভালো হবে।’