প্রথম দুই দিনেই চার স্বর্ণ জয়ের পর এখনো নতুন কোনো খবর আসেনি। তবে অনেক খেলার ফাইনালও হয়নি। সেখানে সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতকালও রৌপ্য আর ব্রোঞ্জের মধ্যে থাকলো বাংলাদেশের পদক লড়াই। গতকাল নেপালে এসএ গেমস উশুতে স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। নেপালের কাছে হেরে বাংলাদেশের মর্জিনা আক্তার উশুতে রৌপ্য পেয়েছেন। নেপালের নিমা ঘারতি স্বর্ণ জয় করেছেন। পুরুষ লড়াইয়ে বাংলাদেশের রাশেদ হাসান ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। আর নারীদের মধ্যে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন দীপ্তি দাস। শ্যুটিংয়ে বাকি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। এছাড়াও রৌপ্য আছে মেয়েদের লড়াইয়ে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা নেপালে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এখনো হতাশ নই। কারণ এখনো অনেকগুলো খেলা বাকি রয়ে গেছে। যেখান থেকে পদক আসবে।’
এসএ গেমস শ্যুটিং এবং অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশ হতাশই করেছে। দশরথের ফুটবল স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকসের ট্যাকের বাংলার ক্রীড়াবিদরা দৌড়ে পেরে উঠতে পারেননি। আরেনি শ্যুটিং রেঞ্জেও। এই দুটি ডিসিপ্লিনের খেলায় অনেক বেশি আকর্ষণ থাকে। এসএ গেমস বলে এই দুটি লড়াইয়ে স্বর্ণ পদক জয়ের সম্ভাবনাও থাকে। স্বর্ণের দাবীদার বাংলাদেশ। হবেই না কেন, যদি আরো ২০ বছর আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেট শাহআলম স্বর্ণ পদক জয় করে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব হতে পারেন। তাকে অনুসরণ করে মাহবুবরাও যদি এগিয়ে যেতে পারেন। তাহলে এতো বছর পর বাংলাদেশ কেন এসএ গেমসের অ্যাথলেটিক ট্র্যাক হতে স্বর্ণ জয়ের প্রথম দাবীদার মনে করবে না। নেপালে এসএ গেমস ১০০ মিটার স্প্রিন্টে মালদ্বীপের অ্যাথলেট সাঈদ হাসান দ্রুততম মানব হয়েছেন (১০.৪৯)। শ্রীলঙ্কার হিমাসা এহসান রৌপ্য (১০.৫০) এবং পাকিস্তানের সামি উল্লাহ ব্রোঞ্জ জয় করেন (১০.৬৬)। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের এই ইভেন্টে নারীদের লড়াইয়ে ভারতের অচর্ণা স্বর্ণ পদক জয় করেছেন।