শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অবসর নিলেন সিডল

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:২৪

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন সিডল। প্রথম দুই টেস্টে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি। সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টের জন্য লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসনকে দলে নেওয়ার কথা গত সপ্তাহে জানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ করে দিতে মেলবোর্ন টেস্টের পর দল থেকে সিডলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

রবিবার মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে সতীর্থদের নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৩৫ বছর বয়সি সিডল। ফলে গত সেপ্টেম্বরে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের শেষ টেস্টটিই হয়ে রইল তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

সিডল বলেছেন, গত অ্যাশেজের পর থেকেই তিনি অবসরের কথা ভাবছিলেন। তবে দেশের মাটিতে একটা টেস্ট খেলে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি ফক্স ক্রিকেটকে বলেছেন, ‘ঠিক কোনটা সঠিক সময়, এটা বেছে নেওয়া খুব কঠিন। অ্যাশেজটাই মনে হয় সঠিক সময় ছিল। ঐ সফরকারী দলের অংশ হতে পারাটা বড়ো ব্যাপার ছিল। ওটা শেষ হওয়ার পর আমি জেএল (ল্যাঙ্গার) ও পেইনির (টিম পেইন) সঙ্গে কথা বলেছি। আমি ওখানেই অবসর নিতাম। কিন্তু ভেবেছিলাম, দেশের মাটিতে যদি একটা শেষ সুযোগ পাই। যাই হোক, আমি আমার ৬৭টি টেস্ট নিয়ে খুশি। আমি ছোটো থাকতে কখনো কল্পনা করিনি যে, এতো কিছু পাব জীবনে।’

১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে জাতীয় দলে খুব লম্বা সময়ের জন্য নিয়মিত হতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন নিজের সময়ের অন্যতম সেরাদের একজন। ৬৭ টেস্টে ৩০.৬৬ গড়ে ২২১ উইকেট নেওয়া ডানহাতি পেসার রঙিন পোশাকে অবশ্য খুব বেশি সুযোগ পাননি। ২০ ওয়ানডেতে ১৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দুই টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

২০০৮ সালে মোহালিতে নিজের অভিষেক টেস্টে আউট করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকারকে। এরপর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন নিয়মিতই। পরে চোট আর অধারাবাহিক ফরম মিলিয়ে বাকিটা সময়ে ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে।

২০১০ সালে ব্রিজবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জন্মদিনে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েছিলেন সিডল। সেদিন ৫৪ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সেটাই টেস্ট ক্যারিয়ারে তার সেরা বোলিং রেকর্ড। ব্যাট হাতে টেস্টে দুটি ফিফটিও আছে তার।