বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে চায় খুলনা

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:২৭

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বাকী কোচদের তুলনায় অনেক তরুণ জেমস ফস্টার। কিন্তু তিনিই সবার আগে খুলনা টাইগার্স দল নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ আগের রাতে দেখেছেন রাজশাহী রয়্যালসের অবিশ্বাস্য জয়। এই প্রবল ফর্মে থাকা রাজশাহীকেই ফাইনালে সামলাতে হবে ফস্টারের দলকে। ফাইনালের আগে তিনি বলছিলেন, একক কোনো খেলোয়াড়কে লক্ষ্য করে লাভ নেই। ফাইনালে তাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।

রাজশাহীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফস্টার বলছিলেন, ‘তারা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ, ভালো দল। আগামীকাল আমাদের নিজেদের নিংড়ে দিতে হবে তাদের হারাতে হলে। যতটুকু সম্ভব আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি, আত্মবিশ্বাসও বেশ ভালো। শেষ চারটি ম্যাচে আমরা টানা জিতেছি। যার সবকটি আমাদের কাছে নক আউট ম্যাচের মতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ভালো ছন্দে আছি, এখন মাঠে সেটা দিতে পারলেই হয়।

আগের ম্যাচ রাজশাহীকে জিতিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ফস্টার অবশ্য এক রাসেলকে নিয়ে পরিকল্পনা করার পক্ষে নন, ‘আমরা তাদের একাদশের সবাইকে নিয়েই পরিকল্পনা করছি।

মিরপুরের উইকেটে টসে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু ফস্টার বলছিলেন, তিনি নিয়ে ভাবছেন না, ‘আমি মনে করি না (উইকেট, টস গুরুত্বপূর্ণ) আমার কাছে মনে হয় এটা সম্পূর্ণ সেরা ক্রিকেট খেলা স্মার্ট ক্রিকেট খেলার ব্যাপার। আমাদের দুই দলেরই পাওয়ার হিটার আছে, বোলিং অপশনেও দু দলই কাছাকাছি। সুতরাং এটা নিজেদের দিনে সেরা ক্রিকেট খেলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফস্টারের অগাধ বিশ্বাস আছে নিজের ব্যাটসম্যানদের প্রতি। তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ বেশ দুর্দান্ত করছে। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে প্রথম সাতজন ব্যাটসম্যান দলে অবদান রেখেছে বেশ ভালোভাবে। ব্যাট কিংবা বল হাতে আমরা বেশ দারুণ অবস্থানে আছি।

খুলনার টপ অর্ডার খুব ভালো ছন্দে আছে। তারপরও কোনো একক ব্যক্তি খেলোয়াড়ের ওপর ভরসা করতে চান না ফস্টার, ‘দেখেন এখানে ব্যক্তিগত কোনো ব্যাপার নেই। এটা পুরো দলীয় ব্যাপার আমি অনুভব করি পুরো টুর্নামেন্টে আমরা একটি দল হিসেবেই খেলেছি। আমি বেশ উচ্ছ্বসিত ফাইনাল খেলছি বলে। সব ক্রিকেটার, কোচ, ব্যাকরুম স্টাফ আমরা একসাথে পরিশ্রম করেছি। আর প্রত্যেকেই বেশ রোমাঞ্চিত আগামীকালের ম্যাচের জন্য।

দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শান্ত-মিরাজ-মুশফিকের প্রশংসা করে কোচ বলছিলেন, ‘অসাধারণ। তারা ফর্মে আছে, আর তাদের দারুণ কিছুতেই আমরা এখন ফাইনালে বলা যায়। তাদের ফর্ম নিয়ে বেশ আশাবাদী। তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে শুধু তারা দুজন নয় দলে আরো অনেক ছেলে আছে যারা অবদান রেখেছে দলের ঠিক প্রয়োজনের মুহূর্তে।

শান্ত শেষ দুটি ম্যাচ একাই জিতিয়েছেন খুলনাকে। তার ব্যাপারে বলতে গিয়ে কোচ বলছিলেন, ‘শান্ত বেশ ভালো ক্রিকেটার। এটা বেশ গুরুত্বপুর্ণ যে সে বেশ ব্যস্ত একজন খেলোয়াড় বলে আমি অনুভব করি। সে যখনই দল থেকে বাদ পড়ে ফিরে আসলো দেখিয়ে দিয়েছে নিজের জাত।

সবমিলিয়ে বিপিএলে নিজের অভিজ্ঞতাটা খুব ভালো হচ্ছে বলেই এই কোচের দাবি, ‘এটা বেশ মজার ছিল। তৃতীয়বারের মত আমার এখানে আসা আর প্রথমবারের মত প্রধান কোচ হিসেবে। এমন কিছু সাপোর্ট স্টাফ পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার, তারা একদম প্রথম শ্রেণি মানের। খেলোয়াড়েরা ব্রিলিয়ান্ট। সপ্তাহের বেশি সময় আমি এখানে বেশ আনন্দের সাথে কাটিয়েছি।