শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লা লিগায় পচেত্তিনো?

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ২২:০৮

স্পোর্টস ডেস্ক

তাহলে কি স্প্যানিশ লিগেই যাচ্ছেন মরিসিও পচেত্তিনো?

টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হবার আগ থেকেই তার বড়ো বড়ো দলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে গুঞ্জন ছিল। গেল নভেম্বরে চাকরি হারানোর পর আরো জোরদার হয়েছে ব্যাপারটা। সম্প্র্রতি এক সাক্ষাত্কারে লা লিগাকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে এক কাতারে ফেলেছেন তিনি। ফলে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমের ধারণা, অচিরেই স্প্যানিশ কোনো দলের ডাগআউটেও তাকে দেখা গেলেও যেতে পারে।

চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই টটেনহ্যামের ছন্দহীনতার কারণে শঙ্কায় ছিল পচেত্তিনোর চাকরি। শেষমেশ গেল নভেম্বর তাকে বরখাস্তই করে স্পার্স। এরপর থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার ব্যাপারে গুঞ্জন চলছে। টটেনহ্যামের কোচ থাকাকালীন সময়ে স্বল্প বাজেটে দারুণ দল গড়ার কৃতিত্বই ইউরোপীয় বাজারে তার মূল্য বাড়িয়েছে।

চাকরি হারানোর পর থেকে নানা গুঞ্জন চললেও চূড়ান্ত হয়নি কোনোটিই। তাই ঘরে বসে অখণ্ড অবসরই কাটাচ্ছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ। তবে এ সময়ে ফুটবলও দেখছেন বেশ, জানালেন পচেত্তিনো। পচেত্তিনো বলেন, ‘এখন আমি অনেক বেশি ফুটবল দেখছি আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। পরের দুই সপ্তাহে আমার কোনো কাজ নেই, ব্যাপারটা ভালোই।’

খেলোয়াড়ি জীবনের একটা বড়ো সময় স্পেনেই কাটিয়েছিলেন পচেত্তিনো। সাবেক আর্জেন্টাইন সেন্টারব্যাক এস্পানিয়লের হয়ে প্রায় এক দশক খেলার পর কোচিং জীবনও শুরু করেছিলেন বার্সেলোনার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ডাগআউটে ।

সে স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘আমি আর্জেন্টাইন হলেও লা লিগার সময় থেকেই কিন্তু আমি অর্ধেক আর্জেন্টাইন আর অর্ধেক কাতালান স্প্যানিশ হয়েছিলাম! এটা ভালো একটা মিশ্রণ। এস্পানিয়লের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার পর প্রিমিয়ার লিগে গেলাম। সেখানকার ভাষা আর সংস্কৃতির ব্যাপারে জানলাম। এ ব্যাপারে আমি বেশ ভাগ্যবান।’

ভবিষ্যতে কখনো স্পেনে ফিরবেন কি না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সে সম্ভাবনা জিইয়েই রাখলেন পচেত্তিনো, ‘অবশ্যই ফুটবল ইংল্যান্ডে জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু লা লিগাও অসাধারণ। এখানে দারুণ ফুটবল খেলা হয় এবং দারুণ কিছু কোচ আছেন। আজ এটা অন্য খেলোয়াড় ও কোচদের জন্যে দৃষ্টান্তের মতো। শেষ ২০ বছরে সারাবিশ্ব জুড়ে ফুটবলে সেটা প্রতিফলিত হয়েছে।’

পচেত্তিনো আরো যোগ করেন, ‘কোচ হিসেবে আমরা সবসময়ই সেরা জায়গাটায় থাকতে চাই। আমি মনে করি, কোচিং করানোর জন্যে ইংল্যান্ড আর স্পেনই হচ্ছে বিশ্বের সেরা দুটো লিগ।’