শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভেট্টোরির প্রেরণায় তিন ফরম্যাটে তাইজুল

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২০, ২১:২৮

চলতি বছরের অক্টোবরের আগে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ দলে বাঁহাতি স্পিনারের সংকটই দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে তথা সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাট ওয়ানডে, টি-২০তে। সাকিব থাকাকালীনও গত দুই বছরে তার একজন সঙ্গী খোঁজার চেষ্টায় ছিলেন নির্বাচকরা।

সানজামুল ইসলাম, আরাফাত সানিদের নিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। এখন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের রাকিবুল ইসলাম, বিপিএলে খুলনার হয়ে খেলা তানভির ইসলামদের প্রতি নজর রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে তো বিপিএলে চট্টগ্রাম দলে খেলা নাসুম আহমেদকেও ডাকা হলো। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতিই স্থির। সাকিবের অভাব পূরণে অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলামের প্রতিই ভরসা রাখছে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।

‘টেস্ট বোলার’ ট্যাগ লেগে যাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারও সাদা বলে বোলিংয়ের দিকে মনোযোগী হয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে টেস্টের বাইরে ওয়ানডে, টি-২০ দুই ফরম্যাটেই খেলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও সব ফরম্যাটে ঠাঁই হয়েছে তার। ২৯ টেস্টের বিপরীতে ৯ ওয়ানডে ও ২ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

লাল ও সাদা বলের চুক্তিতে এসে অবাক নন তাইজুল। ক্রিকবাজকে তিনি বলেছেন, ‘আমি অবাক নই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে লাল ও সাদা দুই ক্যাটাগরিতে থেকে। আমি কখনোই নিজেকে টেস্ট বোলার ভাবিনি। আমি মনে করি না, নির্বাচকরাও কখনো এমন কিছু বলেছে। মিডিয়া এটা বানিয়েছে, তারা আমাকে টেস্ট বোলার বানিয়েছে।’

সাদা বলে নিয়মিত হওয়ার পেছনে স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অবদান দেখছেন তাইজুল। ভেট্টোরিই তাকে সাদা বলে মনোযোগী হতে প্রেরণা যুগিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘যখন সুনীল যোশি এখানে ছিলেন, আমি তার সঙ্গে আমার টেস্ট বোলিং নিয়ে কাজ করেছি, আমার চিন্তা তখন ওখানেই ছিল। যখন ভেট্টোরি এলো, সে আমার বোলিং দেখে বলেছে, এই বোলিংয়ে আমি সব ফরম্যাটেই খেলতে পারব। আমার দরকার কিছুটা ফাইন-টিউনিং।’

৯ ওয়ানডেতে ১২ উইকেট ও ২ টি-২০ তে ১ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনার ভেট্টোরির সঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি উনার সঙ্গে কিছু কাজ করেছি, বিশেষ করে পেস ভ্যারিয়েশন (গতি বৈচিত্র্য) নিয়ে। এটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এখন আমার পেস ভ্যারিয়েশন ও অন্য কিছু বিষয় উন্নতি হচ্ছে।’

অ্যাকশন পরিবর্তন না করে ভিন্ন ভিন্ন গতিতে বোলিং করার বিষয়ে এখন কাজ করছেন তাইজুল। যেটি সঠিকভাবে করার কাছাকাছি আছেন তিনি।

তাইজুল বলেছেন, ‘এখানে অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার আছে। যেমন ধরেন অ্যাকশন একই রেখে পেস ভ্যারিয়েশন করতে হলে বডি পজিশন কেমন হওয়া উচিত। হাত কোথায় থাকবে, হেড পজিশন, বল গ্রিপ করা, বল রিলিজ পজিশন, এগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে। আপনি বলতে পারেন আমি এখনো কাজ করছি।’

আগে একই গতিতে বল করতেন বলে ব্যাটসম্যানরা সহজে পড়ে ফেলতে। এখন গতির হেরফের করতে পারছেন বোলিংয়ে। তাইজুল জানিয়েছেন, গত ভারত সফর থেকেই টেস্টেও ঘণ্টায় ৭৮-৯২ কিমি. গতিতে বোলিং করেছেন তিনি।