শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উইজডেনের বর্ষসেরা বেন স্টোকস

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ২১:৩৬

স্পোর্টস রিপোর্টার

টানা তিন বার উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাকের বর্ষসেরা ‘লিডিং ক্রিকেটার’ হওয়ার পর এবার জায়গা হারিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার সেরা পাঁচ বর্ষসেরা ক্রিকেটারেও জায়গা পাননি ভারতীয় অধিনায়ক। এবারের লিডিং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার হয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তার সঙ্গে লিডিং নারী ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি। আর সেরা পাঁচে বাকি চার ক্রিকেটার হলেন—জোফরা আর্চার, প্যাট কামিন্স, মার্নাস লাবুশেন ও সাইমন হার্মার।

বেন স্টোকস এই পুরস্কারটার পথে প্রথম এগিয়ে যান মূলত বিশ্বকাপের অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে। সেখানে ফাইনালের ম্যাচসেরা ক্রিকেটারও ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোয় অসাধারণ অবদান রাখেন। এরপর অ্যাশেজে হেডিংলি টেস্টে অতিমানবীয় এক সেঞ্চুরি করে দলকে ১ উইকেটের জয় এনে দেন।

উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেছেন, ‘স্টোকস কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় এক জীবনের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। প্রথমটি, তার বিস্ময়কর সামর্থ্য ও কিছুটা ভাগ্যের সমন্বয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে। রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের ত্রাতা ছিলেন তিনি, এরপর সুপার ওভারেও রাখেন বড়ো অবদান। এরপর, অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে হেডিংলিতে খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস, দলের এক উইকেটের জয়ে করেন অপরাজিত ১৩৫।’

পেরি মেয়েদের ক্রিকেটের সেরা হয়েছেন মূলত অ্যাশেজের পারফরম্যান্সেই। মেয়েদের অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টে খেলেন ১১৬ ও ৭৬ রানের দুটি ইনিংস। ওয়ানডে সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। একটি ওয়ানডেতে বল হাতে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।

বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের পারফরম্যান্স মিলিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম মৌসুমে বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন আর্চার। বিশ্বকাপে এই ফাস্ট বোলার নিয়েছিলেন ২০ উইকেটে, অ্যাশেজে চার টেস্ট খেলে ২২টি।

বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল কামিন্স ও লাবুশেনের। অ্যাশেজে পাঁচ টেস্টে ২৯ উইকেট নিয়ে কামিন্স ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন ওভারপ্রতি পাঁচের কম রান দিয়ে। চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্সে ৫০.৪২ গড়ে ৩৫৩ রান করেছিলেন লাবুশেন। তার আগে কাউন্টিতে গ্ল্যামরগনের হয়ে ১ হাজার ১১৪ রান করেছিলেন ৬৫.৫২ গড়ে।

হার্মার স্বীকৃতি পেয়েছেন এসেক্সের হয়ে ঘরোয়া মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। ইংল্যান্ডে থিতু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিনার কাউন্টি মৌসুমে নিয়েছিলেন ৮৩ উইকেট, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৭টি। দুটিতেই শিরোপা জিতেছিল এসেক্স।