বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদায় বললেন নাজমুল

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪৯

 স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রায় সাত বছর জাতীয় দলে খেলেছেন। টানা না খেললেও বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশই ছিলেন এক সময়। ২০১২ সালে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আর সেটাও টেনে নিয়ে যেতে চাইলেন না। সব ধরনের ক্রিকেটকে গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এসে বিদায় বলে দিলেন পেসার নাজমুল হোসেন।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩৮টি ওয়ানডে, দুটি টেস্ট ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাজমুল। গতকাল বললেন, আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি বিদায় বলে দিচ্ছেন, ‘যদি খেলার দিক থেকে চিন্তা করেন তাহলে কম খেলেছি। কিন্তু দলের সঙ্গে ছিলাম প্রায় ১১ বছর। শেষের দুবছর, ২০১৪ সালের পর থেকে আমি সবদিক থেকেই স্ট্রাগল করছিলাম। তখনই আমার মনে হয়েছিল লাকি না হলে আমার ব্রেক করে ফিরে আসা কঠিন হবে। যখন ফিট ছিলাম তখনো আমি ইন অ্যান্ড আউট ছিলাম। আমি প্রথম টেস্ট খেলার পর সাত বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছি।’

ক্যারিয়ারটা ছোট হলেও বিভিন্ন প্রজন্মের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। বাংলাদেশের কিছু স্মরণীয় জয়ের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে আছে বলেও অন্তত তৃৃপ্তি নিয়ে বিদায় বলতে পারলেন নাজমুল, ‘আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আকরাম ভাই, সুমন ভাই; ওনাদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে খেলতে পেরেছি। মাশরাফি ভাই, সাকিব, তামিম; ওদের সঙ্গে খেলতে পেরেছি। সবমিলিয়ে ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে জিতেছে, সেই ম্যাচটা আমি খেলেছি। প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, সেটা আমি খেলেছি। প্রথম শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি, সেটা আমি খেলেছি। এইগুলো চিন্তা করলে আমার মনে হয় আমি ভাগ্যবানই ছিলাম। ছোট ক্যারিয়ার, কিন্তু আমার প্রাপ্তি অনেক।’

এখন নাজমুল কোচিংয়ে মন দিতে চান। এখনো ঠিক করেননি, কোথায় কী করবেন। তবে এটা ঠিক করেছেন, তার মতো কোনো বোলার যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য কাজ করবেন, ‘আমার তো ন্যাশনাল টিমে কোনো ফিউচার নেই। আমি চাই না আমার মতো বোলাররা হারিয়ে যাক। আজকের পর তো সিজন শেষ। ঈদের পর আমি শুভাশিষ, শহীদ, আল আমিন, তাসকিন বা ৮-১০ জন যেই বোলার থাকবে, আমি চাইব পারসনালি ওদের সঙ্গে কাজ করতে। যেন ওরা আমার মতো হারিয়ে না যায়।’