শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোচ খোঁজা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা

আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ২০:৪৫

 

শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ আছে এখনও ১৬ মাস। তার কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরাও কমবেশি এরকম মেয়াদে থাকার কথা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, দলটির সব কোচিং সদস্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মাসের পর তাদের কারো সাথে আর কাজ চালাবে না বোর্ড। এরই মধ্যে তারা নতুন কোচের সন্ধান শুরু করেছে বলে খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।

২০১১ সালে শেষ শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে পুরো সময় পার করেছিলেন ট্রেভর বেইলিস। এরপর থেকে এই আট বছরে আর কোনো শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ চুক্তির পুরো সময় শেষ করতে পারেননি। দ্য আইল্যান্ড পত্রিকা বলছে, গড়ে এক বছরের কাছাকাছি সময়ে এক এক জন কোচকে ছাঁটাই করেছে শ্রীলঙ্কান বোর্ড।

এর মধ্যে সবাই এই আগেভাগে ছাঁটাই সহজে মেনে নিয়েছেন, তা নয়। অস্ট্রেলিয়ান কোচ জিওফ মার্শ তাকে আগেভাগে ছাঁটাই করায় এসএলসির নামে মামলা করে দিয়েছিলেন। আর ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন।

হাথুরুসিংহে সেরকম কিছু করবেন কি না, সেটা সময় বলবে। তবে এই শ্রীলঙ্কান কোচও এখন দায়িত্ব ছাড়ার জন্য অধীর হয়ে আছেন। কারণ, তিনি এখন আর আগের মতো ক্ষমতাধর নেই এখানে। হাথুরুসিংহে যখন শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেন, তখন তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে, তাকে নির্বাচক কমিটিতে রাখতে হবে। কিন্তু এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এসএলসি তাকে নির্বাচক কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়।

এখন শ্রীলঙ্কার নতুন কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি নাম আসছে দেশটির সাবেক কোচ ফল ফার্বেসের। দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় এই ইংলিশ কোচের প্রতি অনুরক্ত। সেই অনুযায়ীই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো নিজে ফার্বেসের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা যাচ্ছে।

অবশ্য ফার্বেস শ্রীলঙ্কাকে খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন আগের দফায়। ২০১৪ সালে তিনি হঠাত্ করেই ইংল্যান্ডে ট্রেভর বেইলিসের সহকারী হওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার চাকরি ছেড়ে দেন। এই ঘটনার মাস তিনের পরই শ্রীলঙ্কার যুক্তরাজ্যে সফর ছিল বলে সে সময় তার খুব সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখন ওয়ারউইকশায়ারের ক্রীড়া পরিচালক ফার্বেসের সেই অতীত কোনো বাধা হবে বলে মনে হচ্ছে না।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার গুঞ্জনে নাম আছে পাকিস্তানের বর্তমান কোচ মিকি আর্থারেরও। দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াও তাকে চাচ্ছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আর্থার আর চালিয়ে না যেতে চাইলেও পাকিস্তান তাকে ধরে রাখতে চায়।