বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মোসাদ্দেক রাজি তবে...

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫৭

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, নেতৃত্বের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নন। এখন তরুণদের দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। অধিনায়কত্বে নিজের অনীহার কথাও জানিয়েছেন সাকিব।

কয়েকদিন আগে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও বলেছেন, সাকিব না চাইলে নেতৃত্বে তার বিকল্প খোঁজা উচিত।

বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে যেমন, বিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। পরে দায়িত্ব নেন তামিম ইকবাল। 

বর্তমান বাংলাদেশের দলে তরুণরা বেশিরভাগই স্থায়ী নন। তবে এখন তিন ফরম্যাটেই খেলছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অধিনায়ক ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেতৃত্ব দিয়েছেন আবাহনী ক্লাবকে। ২৩ বছর বয়সি মোসাদ্দেকও থাকতে পারেন আগামীর অধিনায়কের তালিকায়।

যদিও অধিনায়কত্ব নিয়ে এখন কিছুই ভাবছেন না মোসাদ্দেক। আবার রাজি নন এমনটাও নয়। বিসিবি দায়িত্ব দিলে আলোচনা সাপেক্ষেই সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি। নেতৃত্ব পেলে কি করবেন জানতে চাইলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই তরুণ অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আসলে আমি এ ব্যাপারে জানি না কিছুই। যখন এরকম কথা হবে অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলবেন, সেটা আলোচনা সাপেক্ষে হয়তো আমি...।’

এখন অবশ্য খেলোয়াড় হিসেবে দলে অবদান রাখার দিকেই বেশি দৃষ্টি দিতে চান মোসাদ্দেক। তরুণদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার বিষয়ে গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আসলে বর্তমান অবস্থায় তো ওভাবে চিন্তা করছি না আসলে কী হবে, কী হবে না। ম্যানেজমেন্টে যারা আছে তারাই খুব ভালো বলতে পারবে। টিমে অবদানের কথা যদি বলেন, সবাই পারফরম করা শুরু করেছে এবং চেষ্টা করছে অবদান রাখার। আমি মনে করি আমার জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করব আমি কতটুকু অবদান রাখতে পারতেছি। এখন আমি এটার ওপর ফোকাস করছি।’

সন্দেহাতীতভাবে দেশের ক্রিকেট এখন দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এমন সময়ে অধিনায়ক হলে, ব্যাটসম্যানদের আরো একটু দেখে-শুনে খেলতে বলতেন মোসাদ্দেক। সঙ্গে তাড়াহুড়ো না করে ভুলের সংখ্যা কমানোর কথাই বলছেন তিনি।

চলমান ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে দলের প্রতি মোসাদ্দেকের বার্তা হতো এমন, ‘আমি একটা কথা প্রথমেই বলেছি আফগানিস্তানের সঙ্গে বিষয়টা হয় কি ওদের স্পিনার নিয়ে সবসময় কথাটা উঠে আসে বেশি। যদি দেখেন আমরা ম্যাচ হারতেছি ২০ রানে ১৫ রানে—এই জায়গাতে আমরা হারতেছি। ওদের যে স্পিনাররা আছে আমরা যদি আরেকটু দেখে-শুনে খেলি বা যে ভুলগুলো করছি তা আরেকটু কমিয়ে আনি। টি-২০ তে ১৬০ রান হবে এটাই স্বাভাবিক, সেখানে হয়তো আমরা ১৪৫ বা ১৫০ করতেছি। যে জায়গায় হয়তো আমরা একটু বেশি তাড়াহুড়া করতেছি, সে জায়গায় ভুল কম করে তাহলে আমাদের ম্যাচ জেতার হার বেড়ে যাবে।’