লিওনেল মেসি আগামী মাসে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছেন। পরের ম্যাচেই ঢাকার মাঠে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবার কথা দলটির। আর্জেন্টাইন কোচও জানিয়েছেন, নভেম্বরের সবগুলো ম্যাচ খেলবেন মেসি। এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, পূর্ণশক্তির দল পাবার নিশ্চয়তা পেলে তবেই লাতিন দল দুটিকে দেশে আনার তোড়জোড় শুরু করবে তারা।
তাহলে কি সফরটা চূড়ান্ত হয়েই গেল? লিওনেল মেসি ও সার্জিও আগুয়েরোদের খেলার নিশ্চয়তা পাবার পরেও খেলাটি ঢাকায় হবার ৫০/৫০ সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। জানালেন, এখন আর্জেন্টিনার ঢাকায় আসার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক সংকট।
গেল কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন মেসি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবলকে তো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ই বলে বসেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক! এমন মন্তব্যের জেরে তিন মাসের জন্যে নিষিদ্ধ হন ছয় বারের ফিফা বর্ষসেরা এই তারকা।
তিন মাসের সে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগামী নভেম্বরে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি, জানিয়েছেন দলটির কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। গতকাল রবিবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবার আগে আর্জেন্টিনা কোচ সাংবাদিকদের জানান, আগামী মাসে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবেন তার আরেক সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরোও।
স্ক্যালোনি বলেন, ‘মেসি এখানে আমাদের সঙ্গে খেলছে না নিষেধাজ্ঞার কারণে। সার্জিও আগুয়েরোর না থাকার কারণ ব্যক্তিগত সমস্যা। যে কারণে তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিও তাকে শতভাগ সময় জুড়ে অনুশীলনে-ম্যাচে পাচ্ছে না। তবে আগামী মাসে দুজনকেই জাতীয় দলে ফিরে পাব, এটা নিশ্চিত।’
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্যারাগুয়ে ফুটবলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঢাকার মাটিতে খেলবে দলটি। প্যারাগুয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ম্যাচটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরপর বাফুফের সঙ্গে বৈঠক শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছিলেন, ম্যাচটি ঢাকায় হওয়া নিয়ে এজেন্টদের কাছে বাংলাদেশের প্রধান শর্ত হচ্ছে, লিওনেল মেসিসহ পূর্ণশক্তির আর্জেন্টিনাকে পাবার নিশ্চয়তা।
খোদ আর্জেন্টিনা কোচের কাছ থেকে মেসি জাতীয় দলে থাকার নিশ্চয়তা পাবার পর দলটির বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে সব ধোঁয়াশা কেটে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বাফুফে এখনো ব্যাপারটাকে দেখছে ৫০/৫০ সম্ভাবনাতেই।
আট বছর আগে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়াকে বাংলাদেশে আনতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছিল বাফুফেকে। এবার আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েকে দেশে আনতে অঙ্কটা আরো বড়ো হবারই কথা।
গতকাল বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ইত্তেফাককে জানান, বিপুল অঙ্কের এই অর্থই আপাতত মেসিদের বাংলাদেশে আসার পথ আগলে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো এটা হবার ফিফটি ফিফটি চান্সই দেখছি। কেননা প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনতে একটা বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন। সেখানেই এখনো পর্যন্ত ব্যাপারটা আটকে আছে।’