পরমাণু চুক্তি ভঙ্গের কারণে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বশক্তিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ইরান দ্রুত পরমাণু চুক্তি ভঙ্গের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শত শত সেন্ট্রিফিউজে ইউরেনিয়াম ভরছে। ইরান তার মাটির নিচে তৈরি করা পরমাণু কেন্দ্র ‘ফর্দো’তে কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর পর এই অভিযোগ তুললেন মাইক পম্পেও। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সম্প্রতি এটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরান জানিয়েছে ২ হাজার কেজি ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড নাতানজ পরমাণু কেন্দ্র থেকে ফর্দোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ইরান জানিয়েছিল ফর্দোতে ১ হাজার ৪৪টি সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এটিকে অবহিত করেছে ভুলপথে ইরানের বড়ো পদক্ষেপ হিসেবে।
পম্পেও বলেন, সম্প্রতি ইরানের কয়েকটি উসকানিমূলক হামলা দেখে বুঝতে পারছে বিশ্ববাসী পরমাণু শক্তিধর হলে ইরান কী করবে। ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফর্দো পরমাণু কেন্দ্র বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। ২০০৯ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পরমাণু কেন্দ্রটি লুকিয়ে রেখেছিল ইরান। পাহাড়ের নিচে এর স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিমান হামলা করে এটিকে ধ্বংস করা না যায়। তবে ইরান বলেছে, ফর্দোতে সেন্ট্রিফিউজে ইউরেনিয়াম ভরার মাধ্যমে পরমাণু চুক্তি ভঙ্গ হয়নি।
রাশিয়া ইরানের এই পদক্ষেপকে উদ্বেগজনক বলেছে। রাশিয়া বলেছে, এর ফলে পরমাণু চুক্তি রক্ষা করা আরো কঠিন হবে। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরব এটিও বলেন যে, ইরান পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো পূরণ করার পরেও কিছু পায়নি। তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। ইরানের এই পদক্ষেপকে ভয়ানক বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। ফর্দোতে থাকা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন তারা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন। আগে ফর্দোতে ২০% ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে ইরান।