শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বলিভিয়ায় নির্বাচন নিয়ে সরকার ও মোরালেসের দলের সমঝোতা

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১৭

বলিভিয়ার সদ্য পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের দল ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিনেটে মুভমেন্ট ফর সোশালিজম (এমএএস) পার্টির নেতা মনিকা ইভা কোপা মুরগা এ সমঝোতার ঘোষণা দেন।

সিনেটের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে নেওয়া মনিকা বলেছেন, ‘আজ এক ঐতিহাসিক দিন। দেশকে স্থিতিশীল করতে, গণতন্ত্রকে রক্ষায় একটি নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।’ এমএএসের এ নেতা নিরাপত্তাবাহিনীকে বলিভিয়ার আদিবাসী জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাতেও অনুরোধ করেন। গত সপ্তাহে মোরালেসের পদত্যাগের পর থেকে রাজধানী লা পাজ ও অন্যান্য শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এমএএসের কর্মী-সমর্থক ও আদিবাসীদের লাগাতার সংঘর্ষ চলে আসছিল। দুই পক্ষের এ সমঝোতা পরিস্থিতিকে শান্ত করতে ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকদের অনুমান। অবশ্য ঘোষণা এলেও কি কি বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, রয়টার্স তার বিস্তারিত জানাতে পারেনি।

 মোরালেস, ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্থিয়া, সিনেটের নেতা আদ্রিয়ানা সালভাতিয়ারা ও হাউজ অব ডেপুটিসের নেতা ভিক্টর বোর্দা পদত্যাগ করার পর মঙ্গলবার নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা সিনেটর জিনাইন আনিয়েজ শুরু থেকেই এমএএসের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নতুন নির্বাচন হলেও মোরালেস সেখানে প্রার্থী হতে পারবেন না বলেও জানিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সি এ নারী। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ঘোষণা এলেও সেখানে মোরালেসের প্রার্থিতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

আনিয়েজ সরকার এখনো নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী তাকে দায়িত্ব নেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই ভোটের আয়োজন করতে হবে। সিনেটের অনুমোদন ছাড়া নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করা আনিয়েজকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, জার্মানি। মোরালেসের সমর্থক হিসেবে পরিচিত রাশিয়াও নতুন নির্বাচন পর্যন্ত বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

গত মাসের ভোটে বিরোধী প্রার্থীকে ১০ শতাংশের বেশি ব্যবধানে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বামপন্থি মোরালেস। নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে বিরোধীদের কয়েক সপ্তাহের আন্দোলনের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চাপে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। ‘প্রাণ বাঁচাতে’ আদিবাসী এ নেতা পরে মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। এমএএস তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে আনিয়েজ মন্ত্রিসভার সদস্য জেরজেস জাস্টিনিয়ানো বৃহস্পতিবার জানান। অন্তর্বর্তী সরকার মোরালেসের দেশে ফেরায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।