ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার বছর ছিল ২০২০ সাল। গত বছর উত্তর মেরুতে পাতলা তুষার স্তরের কারণে দাবানল ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনই ছিল এসবের অন্যতম প্রধান কারণ। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস পৃথিবী পর্যবেক্ষণ প্রকল্প এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
ইউরোপের বিজ্ঞানীরা জানালেন, উষ্ণ পৃথিবীর প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। কোপার্নিকাস পৃথিবী পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২০ সালে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা অতীতের পাঁচটি উষ্ণতম বছরের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কোপার্নিকাসের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফ্রেজা ভ্যামবর্গ বলেন, ‘ইউরোপে প্রত্যেক ঋতুতেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ কোপার্নিকাস ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করেছে। তবে ১৮৫০ সাল থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী গত বছর ছিল ইউরোপের উষ্ণতম বছর। গত বছর ইউরোপের শীতকাল ছিল উষ্ণতম শীতকাল যা ১৯৮১ থেকে ২০২০-এর গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এছাড়া গত বছর শরত্কালও ছিল ইউরোপের উষ্ণতম শরত্।
গত বছরের গ্রীষ্মকালের মতো এত দীর্ঘ ও তীব্র তাপপ্রবাহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হয়নি। এছাড়া স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও ফ্রান্সের কিছু জায়গায় রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা ছিল। ভ্যামবর্গ বলেন, গত বছর উত্তর মেরু একটি ব্যতিক্রমী বছর প্রত্যক্ষ করেছে। আর্কটিক সাইবেরিয়া অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে এবং বরফের আস্তরণ পাতলা হয়ে যাওয়ায় দাবানল দীর্ঘসময় পর্যন্ত ছিল। আর্কটিক সাইবেরিয়ার গত বছর তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রার চেয়ে গত বছরের তাপমাত্রা ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ সপ্তাহে জানিয়েছে, বৈশ্বিকভাবে ২০২০ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম তিনটি বছরের একটি।