শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খ্রিস্টান ও বিদেশিরা ছিল টার্গেট

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ২২:১৮

ইত্তেফাক ডেস্ক

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার মূল লক্ষ্য ছিল দেশটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। এলক্ষ্যে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উত্সব ইস্টার সানডেতে তিনটি চার্চে হামলা করা হয়। দেশটিতে পনের লাখ খ্রিস্টান নাগরিক রয়েছেন। এছাড়াও হামলার টার্গেটে ছিলেন দেশটিতে ভ্রমণ ও ব্যবসার উদ্দেশে আসা বিদেশি নাগরিক ও স্থানীয় ধনী ব্যক্তিরা। হামলার শিকার হোটেলগুলো দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় অবস্থিত। হামলায় নিহতদের অন্তত ৩৯ জন বিদেশি নাগরিক।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একযোগে হামলার সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে হামলাকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর ব্যাপারে বিশেষ পারদর্শী। তারা বিত্তশালী, তাদের অর্থদাতা রয়েছে এবং তাদের পরিকল্পনায় খুঁটিনাটি বিষয়ও ছিল। বেছে বেছে রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থল, নেগম্বো ও বাট্টিকাওলাতে তারা হামলা করে।

কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত যা যা ঘটেছে তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন। তবে অনেকে এই হামলাকে ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ওই হামলায় একইসঙ্গে দুটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি ব্যস্ত রেলওয়ে টার্মিনাল ও ইহুদিদের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, মুম্বাই হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র সবোর্চ্চসংখ্যক হতাহত করাটাই ছিল না; কিছু টার্গেট গ্রুপও ছিল- এই যেমন পশ্চিমা পর্যটক। কারণ এটি পশ্চিমা মিডিয়া সবোর্চ্চ কাভারেজ দেবে। তবে মুম্বাই হামলার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঘটনার অনেক অমিলও রয়েছে। যেমন হামলাকারীরা একটি শহরের একস্থানে হামলার পরিবর্তে  দেশজুড়ে ছড়িয়ে হামলা চালায়।  হামলাকারীরা কাউকে জিম্মিও করেনি।

এদিকে, শ্রীলঙ্কার কেবিনেট মুখপাত্র রাজিথে সেনারত্নে বলেছেন, শুধু এ  দেশেরই কোনো গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে তা আমরা বিশ্বাস করি না। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কেরও সহায়তা ছাড়া এ ধরনের হামলা সফল হতে পারে না। দেশটির সরকার এ হামলার জন্য স্বল্প পরিচিত একটি স্থানীয় জিহাদি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তবে কোনো গোষ্ঠীই এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্র্রিপালা সিরিসেনা হামলাকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য বিদেশি সহায়তা চাইবেন বলে জানান।