সাবেক পাক কূটনীতিক
সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় পদক্ষেপ না নিলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নয়, ভারতের তরফ থেকে বার বারেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার তাতে সায় দিলেন প্রাক্তন পাক কূটনীতিক হুসেন হাক্কানিও। তাঁর কথায়, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান সরকার দেশের মাটিতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকই হোক না কেন, তা ফলপ্রসূ হবে না। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
১৩-১৪ জুন কিরগিজস্তানের বিশকেকে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে (এসসিও) ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারাই যোগ দেবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চালু করতে গত সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই ভারতের সিদ্ধান্তের সমর্থনে মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘১৯৫০ থেকে ২০১৫-র ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ৪৫ বার সাক্ষাত্ হয়েছে। কিন্তু তা কখনো দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনে সহায়ক হয়নি।’’ অন্যদিকে, আলোচনার রাস্তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যেমন ঠিক নয়, তেমনই আলোচনাই একমাত্র পথ, এমনটাও মাথায় গেঁথে নেওয়া উচিত নয় বলে মত হাক্কানির।
এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের ডিরেক্টর হুসেন হাক্কানি। পাক সরকার এবং জিহাদি আদর্শের কট্টর সমালোচক বলেই পরিচিত তিনি। এমনকি প্রকাশ্যেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে তিনি লেখেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে অমীমাংসিত অনেক কিছু রয়ে গিয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন হাক্কানি। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে আদর্শগত যে ফারাক, বিশ্বের আর কোথাও তেমনটা চোখে পড়ে না বলে মত তাঁর।