শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিঙ্গুরে কমছে কৃষিজমি বহু চাষি অন্য কাজ করছেন :মমতা

আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৯, ২১:৪০

সিঙ্গুরে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে বলে বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর উন্নত হওয়ায় অনেক চাষি কৃষিজমি বিক্রি করে ‘ভালো দাম’ পাচ্ছেন এবং সেই টাকায় অন্য কোনও কাজ করছেন বলেও স্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। আনন্দবাজার পত্রিকা

বাম আমলে সিঙ্গুরে কৃষিজমি রক্ষার স্বার্থে তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতার আন্দোলনের জন্যই টাটার গাড়ি কারখানা হতে পারেনি। পরে সরকারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অধিগৃহীত জমি চাষিদের ফেরত দেন। তবে তা আর চাষযোগ্য নেই বলে কৃষকদের অভিমত। বুধবার একই কথা স্বীকার করে মমতা বিধানসভায় বলেন, অনেক কৃষক তাদের জমি বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় তা দিয়ে অন্য কাজ করছেন। কিন্তু এতে করে সিঙ্গুরে চাষিদের কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমিতে ২০১৭-১৮ সালে কোন কোন ফসল উত্পাদিত হয়েছে এবং তার মূল্য কত বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৯২০ বিঘা জমিতে ধান, গম, আলু, ভুট্টা, কলা চাষ হয়েছে।’’ ১৯২০ বিঘা অর্থাত্ ৬৪০ একর জমি। যদিও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সিঙ্গুরের অধিগৃহীত ৯৯৭.১১ একর জমির মধ্যে ৯৫৫.৯০ একর জমি চাষিদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল। সুজন চক্রবর্তী জানতে চান, জমির পরিমাণ কমে ৬৪০ একর হওয়া মানে কি বাকি জমি পতিত?

তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৮-১৯ সালে সিঙ্গুরে ৭৯২ জন চাষি ২৬০ একর জমিতে চাষ করেছেন। জমির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। চাষিরা চাষ করতে না চাইলে কী করতে পারি!’’ তিনি বলেন, ‘‘বীজ, সার, চাষের জিনিসপত্র, নানা সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ চাষ করছেন না। চাষিরা তাদের জমিতে কী করবেন, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমি তো কারও জমিতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’’