বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রবাসী উইঘুরদের চীনে হস্তান্তর না করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৬

রয়টার্স ও আল জাজিরা

প্রবাসী চীনা উইঘুরদের বেইজিংয়ের কাছে হস্তান্তর না করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে দেশগুলোর প্রতি এ আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

পম্পেও বলেন, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা উইঘুর মুসলমানদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বেইজিংয়ের দাবি যেন নাকচ করে দেয় মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মধ্য এশীয় দেশগুলোর সহায়তাও চান। পম্পেও বলেন, এ লড়াইয়ে দেশগুলোর পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনে উইঘুর নিপীড়নের বিষয়টির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো যোগসূত্র নেই।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ মুসলমানরা গণগ্রেফতারের শিকার হচ্ছে। ২০১৮ সালের আগস্টে জেনেভায় চীনের ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির দুই দিনের বিশেষ সভায় উঠে আসে চীনে উইঘুরদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখার বিষয়টি। সভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির জাতিগত বৈষম্য বিষয়ক সংস্থা জানায়, চীনে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রাখা হয়েছে। তবে উইঘুরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নকে ‘সন্ত্রাস ও চরমপন্থা’র বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে চীনা কর্তৃপক্ষ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির কাছে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের গণহারে ধরে বিভিন্ন বন্দিশিবিরে নেওয়া হচ্ছে। এরপর সেসব শিবিরে তাদের জোর করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হয়। নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস তাদের এক রিপোর্টে বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই উইঘুরদের আটক করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস জানিয়েছে, বন্দিদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না এবং নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। অধিকাংশ বন্দিকে দীর্ঘদিন আটকে রাখলেও তাদের বিচার শুরু হয় না এবং কোনো আইনি সহায়তাও নিতে দেওয়া হয় না।