শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ধারণার চেয়েও নিম্নগতি ভারতের অর্থনীতিতে

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩৬

 

ভারতের অর্থনীতির গতি যতটা নিম্নমুখী ভাবা হয়েছিল প্রকৃত অবস্থা কি তার চেয়েও খারাপ? তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কথায়। বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতির প্রভাব ভারতে ‘বেশি প্রকট’ বলে মন্তব্য করেছেন এই কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো দেশে এই মন্দা যে আরো বেশ কিছুদিন চলবে তারও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।

দুই দিন আগেই স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেছিলেন, মন্দার ধাক্কা কাটিয়ে ভারত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। উত্সবের মৌসুম শুরু হতেই অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু এসবিআই চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া আইএমএফ প্রধান বললেন, মন্দার প্রভাব আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশেই ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে অর্থনীতির গতি আরও নিম্নমুখী হবে। ভারতে সেই হার হবে আরো বেশি নিম্নগতির।

ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের উত্তরসূরি হিসেবে দুই মাস আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। কিন্তু জর্জিভা এমন এক সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মুখে। তাই আইএমএফ-এর প্রধান হিসেবে তার প্রথম ভাষণেও উঠে এসেছে সেই শঙ্কার বার্তাই। জর্জিভা বলেন, দুই বছর আগেও বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা সুসংহত বৃদ্ধি ছিল। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু এখন অর্থনীতি সমান তালে নিম্নমুখী। ২০১৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশে বৃদ্ধির হার আরো কমবে।

গত ছয় বছরের তুলনায় ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংক সম্প্র্রতি সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেই হার নেমে যেতে পারে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশে। কারণ আইএমএফের মতে, যা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়েও দুর্বল ভারতের অর্থনীতি।