মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তরুণ সাংবাদিক জুনাইদের উদ্যোগ

লক্ষ্মীপুরে ঈদের জামা পেয়ে হাসি ফুটল ৪'শ শিশুর মুখে

আপডেট : ১২ মে ২০২১, ০০:৫৪

চতুর্থবারের মতো লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনার ভাঙন কবলিত নদীপাড় ও সদর-কমলনগর একাংশের দ্বীপ চর শামছুদ্দিনের ৪'শ শিশুর মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেছে উপকূল পড়ুয়াদের সৃজনশীল ও সামাজিক সংগঠন আলোকযাত্রা—কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, লক্ষ্মীপুর দল। মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বিজয়।

এসময় কমলনগরের চর মার্টিন, চর কালকিনির মতিরহাট ও সদরের চর শামছুদ্দিনে শিশুদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ ২০১৭ সাল থেকে শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণের উদ্যোগ নেন সংগঠনটির টিম লিডার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ সাংবাদিক জুনাইদ আল হাবিব।

আয়োজনে  উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া (তপন), চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান প্রফেসর আলা উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান মাহবুবে এলাহি সানি, মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, চর কালকিনি প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান লিটন, ম্যানজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, খুরশিদ আলম চৌধুরী, সৈয়দ ইফতেখার হৃদয়, শাহাদাত হোসেন সৌরভ, মাহবুব আলম, মাহফুজ উদ্দিন, মো. হান্নান প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, শিশুদের নিয়ে এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। জুনাইদ আল হাবিবের এমন উদ্যোগের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এ বয়সে তার মাঝে সমাজ পরিবর্তনের যে একটা ভাবনা, এটি সমাজের জন্য একটি নিদর্শন। নদীপাড়ের শিশুদেরকে সুশিক্ষিত করতে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। কমলনগর উপজেলার সব থেকে অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সব রকমের সহযোগিতা করব।

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে মানুষের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন জুনাইদ আল হাবিব। ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত এ উদ্যোগ ঈদে শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

জুনাইদ আল হাবিব জানান, নদীভাঙা মানুষকে ভালোবাসি, নদীভাঙা মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি৷ সেই জন্য এই উদ্যোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সুবাদে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এসব কাজ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। সে জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম ৬৫ জন শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক দেয়া হয়। ২০১৮ সালে ৩৫০ জন এবং পরের বছর ২০১৯ সালেও একইসংখ্যক শিশুর মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এবার নদীপাড় ও চরের চার শতাধিক শিশুর মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

ইত্তেফাক/এসটিএম