শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অবৈধ গ্যাস-সংযোগ ‘হারাম’, মসজিদে বলবেন ইমামরা

আপডেট : ০৪ মে ২০২১, ০২:১৯

গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে মসজিদের ইমামদের সহযোগিতা চায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। জুমার নামাজের খুতবার সময় গ্যাসের অবৈধ ও অনুমোদনহীন ব্যবহারকে ‘হারাম’ বা নিষিদ্ধ বলে প্রচার করতে আহ্বান জানাবে সংস্থাটি। গত সপ্তাহে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মৌখিক অনুমোদন দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।

দেশে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ-ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে টাস্কফোর্স ও মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করছে বিতরণকারী সংস্থাগুলো। গ্রাহকদের মধ্যে লিফলেট বিলি, মাইকিং, ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো এবং পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও ও ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে নিয়মিত বিরতিতে প্রচারাভিযান করছে, কিন্তু গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিটি মসজিদে ইমামদের বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানির হিসাবে, এর আওতাধীন এলাকায় এখনো ১৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অবৈধ লাইন রয়েছে। ২২ হাজারের বেশি চুলা অনুমোদনহীন গ্যাসের সংযোগ নিয়ে জ্বলছে। তবে অবৈধ সংযোগের সংখ্যা ও পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য আরো পাঁচ গুণ বেশি বলে মনে করেন সংস্থার কর্মীদের একটি অংশ। গ্যাসের এসব অবৈধ সংযোগের কারণে একদিকে রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছে অনেক মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জে এক গ্যাস দুর্ঘটনায় নিভে গেছে ৩২টি প্রাণপ্রদীপ।

ঐ সময় সভা সূত্রে জানা যায়, তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেন, প্রতি সপ্তাহে মসজিদে খুতবা দেন ইমামরা। ইমামরা যদি তাদের বক্তব্যে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার হারাম বলে মুসল্লিদের জানান, তবে সচেতনতা তৈরি হবে। এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে সভার সভাপতি জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। দরকার হলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ইমামদের দিয়ে প্রচারে ইতিবাচক ফল আসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/এসএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন