শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সতেরো রত্ন মন্দির

আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২১, ০৫:২৮

কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খামার কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত। কারো মতে সতেরোটি রত্ন এখানে স্থান পাওয়ায় এরকম নামকরণ। কারো মতে, ১৭টি চূড়ার কারণে এই নাম। ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরটি বর্তমানে সংরক্ষণ করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

সতেরো রত্ন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ত্রিপুরার মহারাজ দ্বিতীয় রত্ন মানিক্য বাহাদুর। ১৬৮২ থেকে ১৭১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ঘটে এই ঘটনা। ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণ মানিক্য বাহাদুর মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত মন্দিরটি বাংলার টেরাকোটা স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে। অষ্টকোণ আকৃতির স্থাপত্য পরিকল্পনার মন্দিরটি সতেরো চূড়া বিশিষ্ট হলেও বর্তমানে অধিকাংশ চূড়া ধ্বংস হয়ে গেছে। মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটটি করে ১৬টিসহ চূড়ার সংখ্যা ১৭টি ছিল। মন্দিরটির ব্যাস ৫২.০৫ মিটার। 


বাইরের দিক থেকে তিনতলা মনে হলেও মন্দিরটির ভিতরের দিক থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত ওঠা যায়। প্রথম তলার উচ্চতা প্রায় ৪.০৫ মিটার। ২.১০ মিটার উঁচু চারটি প্রবেশপথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যায়। প্রবেশপথের দুই পাশে রয়েছে নকশা। দ্বিতীয় তলায় ছয়টি জানালা রয়েছে। মন্দিরের প্রতিটি ধাপে রয়েছে নকশা। এছাড়াও ফুল, লতাপাতা, ঘণ্টা ও জ্যামিতিক নকশায় অলংকৃত। মন্দিরটি বর্তমানে অব্যবহূত অবস্থায় রয়েছে।

ইত্তেফাক/ইউবি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন