শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইসলামে উদারতা ও সহিষ্ণুতা

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৮

ইমানের পরিচয় ও প্রকাশ ঘটে সহিষ্ণুতায়। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘যারা তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য ধারণ করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, আমি তাদের যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যারা ভালো দিয়ে মন্দকে দূর করে’ (সুরা রা’দ, আয়াত :২১)। পবিত্র কোরআনের বিঘোষিত নীতি ও সহিষ্ণুতার নির্দেশনা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য-সহিষ্ণুতা অবলম্বন করো এবং সহিষ্ণুতায় পারস্পরিক প্রতিযোগিতা করো; সহিষ্ণুতার বন্ধনে নিজেদের আবদ্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারো’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত :২০০)।

কঠিন মুহূর্তে মূর্খের বেহুদা কর্ম নয় বরং বিনম্রতার মাধ্যমে ইমানের প্রকাশ ঘটে :‘এবং রহমানের (দয়াময়) বান্দা তো তারাই, যারা বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে এবং যখন অজ্ঞ-মূর্খরা তাদের সম্বোধন করে, তখন তারা বলে সালাম (শান্তি)...’ (সুরা ফুরকান, আয়াত :৬৩)। আবার বলা হলো, ‘(দয়ময়ের বান্দা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না, যদি অহেতুক বিষয়ের সামনে গিয়ে পড়ে, তবে ভদ্রভাবে তা অতিক্রম করে...’ (সুরা ফুরকান, আয়াত :৭২)।

সহিষ্ণুতা একটি ইমানি যোগ্যতা ও মানবিক গুণ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ভালো ও মন্দ এক হতে পারে না। সুন্দর ব্যবহার দ্বারা মন্দ ব্যবহারের জবাব দাও। দেখবে, এতে তোমার জানের দুশমন প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে। এ (বিষয়টি) শুধু তাদের (ভাগ্যেই লেখা) থাকে, যারা সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে এবং এ (সব) লোক শুধু তারাই হয়, যারা সৌভাগ্যের অধিকারী’ (সুরা হা-মিম-সিজদাহ্, আয়াত: ৩৪,৩৫)। সহিষ্ণুতার সঙ্গে ক্ষমার সম্পর্ক সুনিবিড়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন করো। সদাচারের আদেশ করো এবং মূর্খতা অবলম্বনকারীদের সঙ্গে জড়িয়ে পোড়ো না...’ (সুরা আরাফ, আয়াত :১৯৯, ২০০)।

বস্তুত, ইসলাম সব সময় উদারতা ও সহজ পন্থায় বিশ্বাসী। ইবাদত, ইখলাস, দোয়া, দাওয়াত-ই-তাবলিগ, আধ্যাত্মিকতা, মানবসেবা, মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি চেতনার কারণে ইসলামকে বলা হয় ‘শান্তির ধর্ম’। প্রিয়নবি (স.) বলেন, ‘সহজ করো, কঠিন করো না; সুসংবাদ জানিয়ে আহ্বান করো, ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দিও না’ (বুখারি)।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর

ইত্তেফাক/এমআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন